যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হিজবুল্লাহ

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হিজবুল্লাহ

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে লেবানন সরকার ও দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রস্তাবটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শীর্ষ কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রর দেওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সরকার ও হিজবুল্লাহ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামাতে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বৈশ্বিক অবকাঠামো ও জ্বালানি নিরাপত্তা-বিষয়ক বিশেষ দূত আমোস জে. হোচস্টেইন খুব শিগগিরই বৈরুতে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার তেল আবিবের পার্লামেন্টে তিনি বলেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাবেন তার সেনারা।

যুদ্ধবিরতির এমন আলোচনার মধ্যেই গতকাল বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন।

গত এক সপ্তাহ ধরেই লেবাননে হামলা জোরদার করতে দেখা গেছে ইসরায়েলকে। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহও।

গতকাল সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তেল আবিবের ‘স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনা’ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকেই এ হামলার কথা স্বীকার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবানন থেকে ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের শহরতলিতে ঠেকিয়ে দিয়েছে। বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি প্রধান সড়কে গিয়ে পড়েছে এবং বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে ছয় ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫৪ বছর বয়সী একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।