দুদকের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

দুদকের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মাঝখানে কেটে গেছে ২০ বছর। দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর।

এরপর দেখতে দেখতে ২১তম বছরে পা রাখল রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য হলো- তারণ্যের একতাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।

বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের নেতৃত্বে প্রথম কমিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। এরপর যথাক্রমে সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান, মো. বদিউজ্জামান, ইকবাল মাহমুদ ও এরপর মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে কমিশন দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারই প্রথম কমিশন ছাড়া দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে সংস্থাটি। মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে কমিশন বিদায় নিয়েছে তাও ২২ দিন হলো। দুদকের কার্যক্রমে এক ধরনের স্থবিরতার মধ্যেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে।

২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের নিমন্ত্রণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, এবার একটু ভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি আমরা। যেহেতু কমিশন নেই, তাই এবারের আয়োজন তুলনামূলক ছোট পরিসরে। দিনের প্রথম ভাগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে জেলা ও বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও অনলাইনে যুক্ত থাকবেন। আমরা সবাই অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ নিজেদের মধ্যে বিনিময় করব।

তিনি বলেন, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান থাকবে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দুদকের পাশে থাকার জন্য। আমরা তারণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমন করতে চাই। যে কারণে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে- ‘তারুণ্যের একতাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’।

বিগত বছরগুলোতে দুদকের কার্যক্রমে কচ্ছপ গতি থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর হঠাৎ করেই দুদকের কাজের গতি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। সাবেক সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি এবং আমলা, ব্যবসায়ীসহ আড়াই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

তবে বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ কমিশনার না থাকায় অনুসন্ধান বা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।