শিশুরা করোনায় কম আক্রান্তের বিষয়ে জানাল গবেষণা

শিশুরা করোনায় কম আক্রান্তের বিষয়ে জানাল গবেষণা

তুলনায় নিরাপদ শিশুরা? ছবি- শাটারস্টকের সৌজন্যে।

সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণে সহায়ক বিশেষ ধরনের প্রোটিন শিশুদের শরীরে কম মাত্রায় আছে বলেই কি বয়স্কদের চেয়ে তুলনায় কম সংখ্যায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয় শিশুরা?

সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ বার এই প্রশ্নটির সমাধান দিল গবেষকরা। বয়স্কদের তুলনায় কেন কম সংখ্যায় শিশু ও অল্পবয়সিরা আক্রান্ত হচ্ছে করোনাভাইরাসে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে এই গবেষণা। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন’-এ। আন্তর্জাতিক গবেষকদলে রয়েছেন আমেরিকার ভ্যানডারবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের প্রফেসররাও।

সে ক্ষেত্রে বয়স্কদের শরীরে এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনকে বেঁধে বা আটকে ফেললে কোভিড সংক্রমণ কমানো যায় কি না, এই গবেষণা সেই পথেরও দিশা দেখাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যা আগামী দিনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।

বিশেষ ধরনের প্রোটিনটি থাকে আমাদের ফুসফুসের বাইরের কোষগুলিতে। এটা জানা ছিল এই প্রোটিন বয়স্কদের তুলনায় কম মাত্রায় থাকে শিশুদের ফুসফুসের বাইরের কোষগুলিতে।

গবেষকরা দেখেছেন, ফুসফুসে আক্রোন্ত্রের জন্য এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনের সাহায্য নেয় করোনাভাইরাস। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যা সার্স-কোভ-২। এদের বলা হয় রিসেপ্টর প্রোটিন। এরাই করোনাভাইরাসকে সমস্ত ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। শিশুদের শরীরে এই প্রোটিন কম মাত্রায় থাকে বলেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য প্রবীণদের ক্ষেত্রে যে সুবিধাটা পায়, তুলনায় তা অনেক কম পায় শিশু ও অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে।

‘‘তাই শিশুরা কম সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে’’, দাবি গবেষকদের।

অনেক রকমের প্রোটিন থাকে আমাদের শরীরে। তাদের মধ্যে অন্যতম ‘টিএমপিআরএসএস-২’। এটাও এক ধরনের রিসেপ্টর প্রোটিন। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের যে স্পাইকগুলি থাকে, গবেষকরা দেখেছেন, সেগুলির কিছুটা কাটছাঁট করে এই টিএমপিআরএসএস-২ রিসেপ্টর প্রোটিনটি করোনাভাইরাসকে আমাদের ফুসফুসের বাইরের দিকের কোষগুলির প্রাচীর ভাঙতে সাহায্য করে। এই প্রোটিনও বয়স্কদের তুলনায় কম মাত্রায় থাকে শিশু ও অল্পবয়সিদের ফুসফুসে।