পাবনায় কালেক্টরেট সহকারীদের ষষ্ঠ দিনের কর্মবিরিত পালন

পাবনায় কালেক্টরেট সহকারীদের ষষ্ঠ দিনের কর্মবিরিত পালন

পদবী ও গ্রেড উন্নীতকরনের দাবিতে পাবনায় পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস)

পদবী ও গ্রেড উন্নীতকরনের দাবিতে পাবনায় ৬ষ্ঠ দিনের মতো পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস)। ১৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন পূর্ণ দিবস (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা) কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

রোববার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কর্মবিরতি শুরু করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়য়ের নিচ তলার বারান্দায় অবস্থান নেন কালেক্টরেট সহকারী সমিতির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতির বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির পাবনা শাখার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাধারন স¤পাদক মহিউল ইসলাম, এবিএম শফিকুল ইসলাম, মোঃ ইনসাফ আলী,  মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ জিলাল উদ্দিন, মোঃ  মেহেদী হাসান, মোঃ আবদুস সবুর, মোঃ মাহাবুল ইসলাম, মোঃ সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় নেতৃবৃন্দ জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা পদবী ও গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের দাবির বিষয়ে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিলেও সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৫ নভেম্বর থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।

 নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অঅমরা আজ ২০টি বছর অঅমাদের ন্যায় সঙ্গত দাবী বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনসহ উর্দ্ভতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি। ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় ২০-২২ মন্তণালয়/বিভাগ/দপ্তর/ অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ১০ম গেড প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কালেক্টরেট কর্মচারিরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি অথচ অঅমাদের ভাগ্যের কোন উন্নতি নাই। আমরা সারাদেশে এবার যে আন্দোলন শুরু করেছি দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে।

আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন পূর্ণ দিবস (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা) কর্মবিরতী পালন করবেন বলেও এসময় জানান নেতৃবৃন্দ। এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ৫ নভেম্বর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারী দেন কালেক্টরেট সহকারি সমিতির নেতৃবৃন্দ।

এদিকে কালেক্টরেট কর্মচারীরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কার্যক্রমে স্থবিরতার সৃষ্টি  হয়েছে। শত শত সেবা প্রার্থী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়েও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।