পাবনা, ঈশ্বরদী ও সুজানগর পৌরসভায় মেয়র হতে চান আওয়ামী লীগের ৩৪ জন

পাবনা, ঈশ্বরদী ও সুজানগর পৌরসভায় মেয়র হতে চান আওয়ামী লীগের ৩৪ জন

ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছর জানুয়ারির ১৬ তারিখ পাবনা জেলার পাবনা, ঈশ্বরদী ও সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন। নির্বচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পর পরই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নাড়াচাড়া শুরু করেছেন।

পৌরসভা নির্বাচনে পাবনা জেলার উল্লেখিত তিনটি পৌরসভায় ৩৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা মেয়র হতে চান। এর মধ্যে পাবনা ও ঈশ্বরদী পৌরসভায় ১৪ জন করে ২৮ জন এবং সুজানগর পৌরসভায় ৬ জন আওয়ামী লীগের  মনোনয়ন পেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে তিনটি এলাকায় ব্যাপক জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে স্ব স্ব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কর্মী-সমর্থকদেও মধ্যে। 

পাবনা পৌরসভায় ১৪ জন মেয়র হতে চান আওয়ামীলীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতারা 

পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৪ জন পৌর মেয়র হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।তারা হলেন-জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: আসলাম হোসেন বিশ্বাস মাসুদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন,  সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আমিনুল হক টিপু, সাধারন সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি, এ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধান, সাবেক সাধারন সম্পাদক রাকিব হাসান টিপু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আতাউর হোসেন পিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ আজাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুজ্জামান দোলন ও ৬ নং ওয়ার্ড পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ তারেক রহমান।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর আওয়ামীলীগ আগ্রহী প্রার্থীদের তালিকা জেলা আওয়ামীলীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে জমা দিবেন।

ঈশ্বরদী পৌরসভায় ১৪ জন আওয়ামীলীগের মনোয়ন চেয়েছেন

ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই করতে দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র হতে দলীয় সভায় ১৪ জনের নাম জমা পড়েছে।

ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগ অফিসে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রার্থী বাছাই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস। সভায় ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নামের তালিকা জমা নেয়া হয়েছে।

পৌর কমিটির দপ্তর সম্পাদক সানোয়ার হোসেন জানান, সভায় কমিটির সকলের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নামের তালিকা উপজেলা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে পাবনা জেলা কমিটিতে পাঠানো হবে। জেলা কমিটি থেকে নাম উঠানো হবে কেন্দ্রীয় বোর্ডে। কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রার্থীর ঘোষণা করা হবে।

মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ঈশ্বরদী পৌর সভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক রুহুল ইসলাম স্বপন, পাবনা কৃষক লীগের সদস্য ও ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আসাদুর রহমান বিরু, পৌর কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি ইমরুল কায়েস দারা, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুল হক পুনো, পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব, পৌর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সরফুজ্জামান বিডন, আওয়ামীলীগ নেতা জালাল উদ্দীন, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা বেগম।

সুজানগরে আওয়ামী লীগের ৬ নেতা মেয়র হতে চান

সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ৬জন আওয়ামী লীগ নেতার নাম এসেছে। বিষয়টি নিয়ে সুজানগরে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। সুজানগর পৌর আওয়ামীলীগের এক বর্ধিত সভায় এসব নেতারা দলীয় মনোনয়ন পেতে পৌর আওয়ামী লীগের নিকট আবেদন করেন।

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজা হাসান, কার্যকারী সদস্য শাজাহান মন্ডল, সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি রাজু আহমেদ।নির্বচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচন, প্রার্থীতা জমা ২০ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহার ২২ ডিসেম্বর। বুধবার তফসিল ঘোষণার পরপরই শহরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।