পুরো ৬.১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু

পুরো ৬.১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু

ফাইল ছবি।

 অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পুরো দৃশ্যমান হলো। দেশের নিজেদের অর্থায়ানে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার।  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে  পদ্মা সেতুর ১৩ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো ৪১ নম্বর স্প্যানটি।  এই স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে দক্ষিনবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো।    

অন্যদিন ৫ ঘণ্টা সময় লাগলেও আজ শেষ স্প্যানটি বসাতে সময় লাগে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। শেষ স্প্যানের দুপাশে রয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের পতাকা। সঙ্গে দুদেশের সম্পর্ক অটুট রাখার বার্তাও।

 এর আগে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৫মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ নামের ভাসমান ক্রেনটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করে রওয়ানা দেয়। এরপর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে এসে পৌঁছায়।  আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্প্যান নিয়ে ভাসমান ক্রেন খুঁটির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। দুপুর ১২টার দিকে সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হয় পুরো সেতু।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। প্রথম স্প্যান থেকে শুরু করে ৩৯তম স্প্যান বসানো পর্যন্ত সময় লেগেছে তিন বছরের ওপর।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর উপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।