এন্টার্কটিকায় বরফে নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী

এন্টার্কটিকায় বরফে নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী

৫টি নতুন প্রজাতির মাছ ও ২টি নতুন প্রজাতির স্কুইড আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা-

নতুন সামুদ্রিক প্রাণীর খোঁজ মিলল এন্টার্কটিকায়। এন্টার্কটিকা আইস শিটের থেকে একটি বড় বরফের চাঁই (A74) ভেঙে সমুদ্রে মিশে গেছে। সেই চাঁই থেকেই এই নতুন প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। এই বরফের চাঁই ৪৯০ স্কোয়্যার মাইল। ব্রিটেনের বেডফোর্ডশায়ারের মতই এর আয়তন। এই বরফের চাঁইয়ের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা নতুন প্রাণী আবিষ্কার করেছেন।
 
হেমহোল্টজ সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড মেরিন রিসার্চের অ্যালফ্রেড ওয়েজেনার ইনস্টিটিউটের তরফে সামুদ্রিক এই প্রাণীর প্রথম ছবি ও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। পোলাস্টেরন নামে এক গবেষণা সংক্রান্ত জার্মান জাহাজ এই সামুদ্রিক প্রাণীর সন্ধান পেয়েছে। জাহাজের গবেষকরা এই প্রাণী নিয়ে বহু তথ্য ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছেন। এই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি এই বরফের চাঁই আন্টার্কটিকা থেকে ভেঙে সমুদ্রে চলে আসে। A74 বরফের চাঁইয়ের ১ হাজার ২৭০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গবষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা নতুন এই প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কার করেছেন। এই সামুদ্রিক প্রাণীগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮ মাইল নিচে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অন্তত ৫টি নতুন প্রজাতির মাছ। এছাড়া ২টি নতুন প্রজাতির স্কুইডও আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

যে প্রাণীগুলি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন সেগুলি নিয়ে রীতিমতো অবাক তাঁরা। কারণ এর মধ্যে এমন কয়েকটি প্রাণী রয়েছে যারা সূর্যালোক ছাড়া বিপাকক্রিয়া চালাতে পারে না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী বছরের পর বছর ধরে বরফের চাঁইয়ের মধ্য়ে আটকে অ্যাটার্কটিকা সংলগ্ন ওয়েডেল সাগরের ৩০ কিলোমিটার নিচেও তাঁরা বেঁচে রয়েছে। এর কারণ এখনও খুঁজে বের করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। আন্টার্কটিকা আইস শিটে অনুসন্ধান চালিয়ে যে ছবিগুলি তুলেছেন বিজ্ঞানীরা সেখানে ১০ সেন্টিমিটার সামুদ্রিক প্রাণীকে একটি শিলার সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এই প্রাণী চিংড়ি এবং ছোট মাছদের খায়। বিজ্ঞানীরা একটি ব্রিটলস্টার স্টার ফিশ, গোলাপী সমুদ্রের কৃমি এবং বেশ কয়েকটি শিলা, প্রবাল এবং স্পন্জও আবিষ্কার করেছেন। কমপক্ষে ৫ টি প্রজাতির মাছ এবং স্কুইডও আবিষ্কার করেছেন তাঁরা। -কোলকাতা২৪