ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে অস্ত্রবিরতির আহ্বান বাইডেনের

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে অস্ত্রবিরতির আহ্বান বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

আট দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সোমবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতিতে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধে মিসরসহ অন্যান্য অংশীদার দেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আলজাজিরার।

অস্ত্রবিরতিতে মধ্যস্থতার লক্ষ্যে মিসরসহ বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন বাইডেন। যদিও এর আগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যৌথ বিবৃতি ভেটো দিয়ে আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালেও এখনো সহিংসতা থামার ইঙ্গিত নেই ফিলিস্তিনে। যতক্ষণ প্রয়োজন, পূর্ণ শক্তিতে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক প্রতিটি মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে ইসরায়েলকে অনুরোধ করেছেন বাইডেন। হামাস ও গাজার সশস্ত্র অন্য সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই নেতা।

ফিলিস্তিনে চলমান ধ্বংসযজ্ঞ ও বেসামরিক প্রাণহানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও মানবাধিকার সংগঠন আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েলকে বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র। একই সাথে বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করে হামাসের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ফিলিস্তিনে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরাইল আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষেও কথা বলেছেন। অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স, মিসরসহ বিভিন্ন দেশ।

গাজায় ১০ মে থেকে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২১২ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬১ জন শিশু। এসব হামলার জবাবে হামাসসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ছোড়া রকেটে ইসরায়েলের ১০ নাগরিক নিহত হয়, যাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।

হামাস বলছে, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ পাড়া থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও আল-আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার প্রতিশোধ নিতে রকেট হামলা করা হয়েছে।