জিম্বাবুয়েকে বড় টার্গেটই দিল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়েকে বড় টার্গেটই দিল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়েকে বড় টার্গেটই দিল বাংলাদেশ

স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও আফিফ হোসেনের মনোমুগ্ধকর ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহই করেছে বাংলাদেশ। জয় পেতে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ২৭৭ রান।হারারেতে আজকের এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।

কিন্তু শুরুটা ভালো ছিল না টাইগারদের। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৯তম বারের মতো শূন্য রানে আউট হন তামিম। যা কি না বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, তিন ফরম্যাট মিলেও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ডাকের মালিক এখন তামিম।অধিনায়কের বিদায়ের পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মেরেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ইনিংসেও এটিই প্রথম রান। পরের ওভারে লেগসাইডে বিশাল ওয়াইডে বোনাস বাউন্ডারি দেন টেন্ডাই চাতারা।

তামিম-লিটন সুবিধা করতে না পারলেও, শুরু থেকেই উইকেটে ব্যস্ত সময় পার করতে থাকেন তিনি। বিশেষ করে চাতারার ওভারে কাভার ড্রাইভে হাঁকান দর্শনীয় এক চার।কিন্তু বেশিক্ষণ এটি চালিয়ে নিতে পারেননি সাকিব। ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুজুরাবানির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৩ চারের মারে ২৫ বলে ১৯ রান করেন সাকিব।

তামিমের মতোই সাকিবের আউটের ডেলিভারিতেও ছিল এক্সট্রা বাউন্স। তবে ঠিকঠাক ব্যাটে নিতে পেরেছিলেন সাকিব। কিন্তু তার ব্যাটে ডাবল টাচ লেগে বল চলে যায় শর্ট এক্সট্রা কাভারে দাঁড়ানো রায়ান বার্লের হাতে।সাকিব ফিরে যাওয়ার পর মিঠুনের শুরুটাও ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন অফ ড্রাইভের পর জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলা শটে কট বিহাইন্ড হন তিনি (১৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৯)। যেখানে ছিল না কোনো ফুট মুভমেন্ট।

মিঠুনের মতো প্রায় একইভাবে সাজঘরে ফিরেছেন মোসাদ্দেক। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার বল ফুট মুভমেন্ট ছাড়াই অফসাইডে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার গ্লাভসে। ১৫ বল খেলে করেন মাত্র ৫ রান। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে লিটন দাস আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রতিরোধ। জুটিটি সেঞ্চুরির কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহকে স্লো বাউন্সারে বিভ্রান্ত করে উইকেট তুলে নেন লুক জঙ্গি।লিটনের সাথে ৯৩ রানের জুটিতে মাহমুদউল্লাহর অবদান ছিল ৩৩ রান। ৫২ বল থেকে এ সংগ্রহে ছিল একটি ছক্কার মারও।অপরদিকে দারুণ খেলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। লিটন দাস ১০২ রান করেছেন ১১৪ বল খেলে। আছে ৮টি চারের মার।

ইনিংসের শেষ দিকে এসে চমক দেখান আফিফ হোসেন। তিনি ৩৫ বল খেলে তুলে নেন ৪৫ রান। ছিল ২টি ছক্কা ও একটি চারের মার। আর মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২৫ বলে ২৬ রান।তবে ১ রান নিয়েই রানআউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। তার এ সংগ্রহ ৬ বল থেকে। এর মধ্যে একটি চারের মার।