বাংলাদেশের টার্গেট ২৯৯

বাংলাদেশের টার্গেট ২৯৯

বাংলাদেশের টার্গেট ২৯৯

দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা। জয়ের কোনো বিকল্প দেখছে না জিম্বাবুয়ে। সিরিজ খোয়ানোর পর স্বাগতিকদের সামনে হোয়াইটওয়াশের চোখ রাঙানি। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তাই লড়াকু জিম্বাবুয়েকে দেখা যাচ্ছে।

আগের দুই ম্যাচের তুলনায় (প্রথম ওয়ানডেতে ১২১, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৪০) এদিন ব্যাট হাতে তুলনামুলক বেশ ভালো করলো দলটি। হারারেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে করেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান। সিরিজের ব্যবধান ৩-০ করতে বাংলাদেশের দরকার ২৯৯ রান।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের সব ব্যাটসম্যান দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেছেন। কয়েকজন ছিলেন মারমুখি। তিনটি এসেছে ফিফটি। একজন সেঞ্চুরির আভাস দিয়েও পারেননি। ৯১ বলে ৮৪ রান করে রেগিস চাকাভা বোল্ড হয়ে যান তাসকিনের বলে।

আরেক ওপেনার মারুমা পারেননি ক্রিজে থাকতে। অধিনায়ক টেইলর করেন ২৮ রান। ডিওন মায়ার্স করেন ৩৪ রান। মোস্তাফিজের বলে মাধেভেরে মাত্র ৩ রানে বিদায় নিলে স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু মিডল অর্ডারে সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। দুজনই পান ফিফটি। ৪৩ বলে ৫৯ রান করের বার্ল। ৫৪ বলে ৫৭ রান করেন সিকান্দার রাজা। লোয়ার অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান অবশ্য দাঁড়াতেই পারেননি। তিন বল বাকি থাকতে জিম্বাবুয়ে হয় অল আউট।

নিজের শেষ ওভারে সাইফউদ্দিন তুলে নেন তিন উইকেট। অল্পের জন্য হয়নি হ্যাটট্রিক। সবচেয়ে খরুচে বোলার তিনিই। ৮ ওভারে দিয়েছেন ৮৭ রান। এই ম্যাচে সবচেয়ে বোলিং ফিগার ভালো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। পার্ট টাইম বোলার হলেও এই ম্যাচে করেছেন ১০ ওভার। প্রায় তিন বছর পর ১০ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ৪৫। নেন দুই উইকেট। ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ বল হাতে ভালোই কেরামতি দেখালেন।

মোস্তাফিজুর রহমান ৯.৩ ওভারে ৫৭ রানে নেন তিন উইকেট। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ ১০ ওভারে এক মেডেনে ৪৮ রানে নেন এক উইকেট। সেখানে ১০ ওভারে ৪৬ রানে সাকিবের শিকার একজন।