আমি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার, বিবৃতিতে শিল্পা

আমি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার, বিবৃতিতে শিল্পা

আমি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার, বিবৃতিতে শিল্পা

গত ১৯শে জুলাই শিল্পার শেট্টির স্বামীর গ্রেফতারির পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে রোষের কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেত্রীও। অবশেষে এই মামলা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করলেন শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা। নায়িকার অভিযোগ এই মামলায় ‘মিডিয়া ট্রায়াল’-এর মুখে পড়ছেন তিনি। আদালতে বা আইনের চোখে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে তাকে সামাজিক মাধ্যমে অপরাধী ঘোষণা করা হচ্ছে।

নিষিদ্ধ ভিডিয়ো তৈরি এবং তা অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া এই অভিযোগে গ্রেফতার হন শিল্পার স্বামী। মুম্বাই পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে এই মামলায় কোনোরকম ক্লিনচিট দেয়া হয়নি শিল্পাকে, তদন্ত জারি রয়েছে। সংবাদমাধ্যম শিল্পার ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে পর্নকাণ্ড সংক্রান্ত নানান ‘মিথ্যা, ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন’ খবর প্রকাশ করে, এই অভিযোগ এনে বম্বে হাইকোর্টে মানহানির মামলা ঠুকেছেন শিল্পা। মামলার প্রথম শুনানিতে রীতিমতো আদালতের ভর্ৎসনা মুখে পড়েন রাজ কুন্দ্রা ঘরনি। অভিনেত্রীকে কোনোরকম অন্তর্বতীকালীন অব্যাহতি দেয়নি আদালত। বরং পালটা প্রশ্ন করে, ‘পুলিশের দেয়া তথ্য চ্যানেলে সম্প্রচার করা হলে বা সংবাদপত্রে অথবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হলে সেটা কিভাবে মানহানিকর?’

এদিন শিল্পা নিজের বিবৃতিতে জানান, ‘হ্যাঁ! গত কয়েকদিনটা খুব চ্যালেঞ্জিং আমার জন্য, সবক্ষেত্রেই। চারিদিকে অনেক রটনা, এবং অভিযোগের বন্যা। প্রচুর পরিমাণে অযৌক্তিক দাবিদাওয়া আমার নামে চালিয়ে দিচ্ছে সংবাদমাধ্যম এবং আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা (আদতে নন)। অনেক ট্রোলিং আর প্রশ্ন রাখা হচ্ছে শুধু আমাকে নিয়ে নয়, আমার পরিবারকে নিয়েও’।

শিল্পা যোগ করেন, ‘আমি এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করিনি এখনো, এবং আগামিতেও করব না কারণ এই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন, তাই দয়া করে আমার নামে মিথ্যা কোনও বিবৃতি রটাবেন না’।

রাজ কুন্দ্রা ঘরনি জানান, মুম্বাই পুলিশ এবং ভারতীয় বিচারব্যবস্থার উপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে মা হিসাবে আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের গোপনীয়তার একটু খেয়াল রাখুন, অন্তত আমার দুই সন্তানের জন্য। দয়া করে কোনও অর্ধ-সত্য তথ্য ছড়িয়ে দেবেন না’।

সব শেষে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি যোগ করেন, ‘ আমি এই দেশের এক আইন মেনে চলা নাগরিক, গত ২৯ বছরের পেশাদার জীবনে আমি অনেক কষ্ট করেছি, আমি পরিশ্রমী শিল্পী। মানুষ আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন, এবং সেই মর্যাদার কোনোদিন আমি অবজ্ঞা করিনি। দয়া করে আমার পরিবারের এবং আমার গোপনীয়তা বজায় রাখার এই সিদ্ধান্তের মর্যাদা দিন’।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস