মিষ্টি কুমড়া কেন খাবেন?
মিষ্টি কুমড়া
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কুমড়া সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। সবজি হিসেবে আলাদা করে তো খাওয়াই যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, ডালের সঙ্গে কুমড়া রান্না করে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে নানা জায়গায়। ভিটামিন এর পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর জিঙ্ক রয়েছে যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে।
আপনি কেন কুমড়া খাবেন, নীচে তার কয়েকটা কারণ উল্লেখ করা হল:
রাতে ঘুম আসে না?
রাতে ভালো ঘুম না-হলে মন-মেজাজ কিছুই ঠিক থাকে না। সেটাই দিনের পর দিন চলতে থাকলে, মেজাজ তো খারাপ হবেই। ঘুম নিয়ে যাঁদের সমস্যা রয়েছে বা যাঁরা অনিদ্রায় ভুগছেন, কুমড়ার বীজ শুকিয়ে নিয়ে সেটা গুঁড়ো করে খান। কারণ, এই কুমড়োর বীজে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড 'ট্রিপ্টোফান'। যে কারণে ঘুম ভালো হয়। মেজাজও ফুরফুরে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজে দেয়
কুমড়ো দানা ফাইটোএস্ট্রোজেনে পরিপূর্ণ। তাই হাইপারটেনশনের হাত থেকে নিস্তার পেতে চাইলে, কুমড়ার বীজ খাওয়া অভ্যেস করে ফেলুন। ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসারও কমায়। যে কারণে যাঁরা হাইপ্রেসারে ভুগছেন, ওষুধের পাশাপাশি কুমড়ো বীজ খেতে থাকুন। উপকার পাবেন।
হার্ট ভালো রাখতে
পাকা কুমড়ায় থাকা ফাইবার হার্টকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। করোনারি ডিজিজ এড়াতে চাইলে, খাবরের মেনুতে প্রতিদিন কুমড়া রাখুন।
চোখ ভালো রাখতে
চোখ ভালো রাখতে চাইলে কুমডা কিন্তু খেতেই হবে। কারণ, কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন-এ। যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। শুধু চোখই নয়, ভিটামিন-এ ত্বকও ভাল রাখে। হাড় ও দাঁড়ের গঠন মজবুত করে।
রয়েছে ফাইবার
কুমড়া সেদ্ধ করে খান। তাতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ডায়েটারি ফাইবার পেয়ে যাবেন। কুমড়ার মত বীজেও ফাইবার রয়েছে। ফলে কুমড়া বীজ সিদ্ধ করেও খেয়ে নিতে পারেন।