যশোর কারাগারে দুই ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

যশোর কারাগারে দুই ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

যশোর কারাগারে দুই ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

যশোর  প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার আলোচিত দুই গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দন্ডিত দুইজনের ফাঁসি সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় ডিআইজি প্রিজন সগির মিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  জাহাঙ্গীর আলম অপু ও সিভিল সার্জন ডাঃ আবু শাহীনের উপস্থিতিতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই  নিহতদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান জেলার তুিহন কান্তি খান।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জোরগাছা হাজিরপাড়া গৃহবধূ কমেলা বেগম ও ফিঙে বেগম হত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় কমেলা বেগমের মেয়ে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে হত্যার পূর্বে গণধর্ষণের তথ্য উঠে আসে। পুলিশ এ ঘটনায় পাশ্ববর্তী রায়ের লক্ষিপুর গ্রামের আজিজ, মিন্টু, মহিউদ্দিন ও সুজন নামে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বিচার চলাকালে আসামি মহিুইদ্দন মারা যান। এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তিন আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা আপীল করলে হাইকোর্টে নিন্ম আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন। আদালত আসামি সুজনকে খালাস দেন এবং আজিজ ও মিন্টুর মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন। এরপর রাষ্ট্রপতি তাদের ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ গত ৬ সেপ্টেম্বর ফাঁসি কার্যকর করতে যশোর কেন্দ্রীয় কারগারকে নির্দেশনা দেয়। সেই মোতাবেক আজ রাতে ফাঁসি কার্যকরা করা হয়েছে।

এদিকে লাশ গ্রহণ করেন দন্ডিত আজিজের বড় ভাই সভা মন্ডল, ভাইপো মিজানুর রহমান এবং মিন্টুর চাচাতো ভাই ইকরামুল ও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু। 

এর আগে গত শনিবার পরিবারের সদস্যরা নিহতদের সাথে শেষ দেখা করেন। সোমবার দুপুরে তাদের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী খাবার পরিবেশ করে জেল কর্তৃপক্ষ।