প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ

প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ

প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ

ভারতের উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যপুলিশ। সীতাপুরের একটি গেস্ট হাউসে ৩৫ ঘণ্টা আটক রাখার পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।মঙ্গলবার তাকে ও তার দলের মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিভঙের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। যে গেস্ট হাউসে প্রিয়াঙ্কাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, সেটিকেই অস্থায়ী জেল বানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রিয়াঙ্কাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কংগ্রেসনেতা দীপেন্দ্র হুডা, অজয় কুমার লালুও রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙের অভিযোগ আনা হয়েছে। শিগগিরিই তাদেরকে আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনের মৃত্যুর পরে রোববার রাতেই লখিমপুর খেরির উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু পথে সীতাপুরে তার গাড়িকে বাধা দেয়া হয়। পরে রাজ্যপুলিশ তাকে একটি গেস্ট হাউসে আটকে রাখে।

প্রিয়াঙ্কা ও তার সফরসঙ্গীদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করা ও তার হাতে হাতকড়া পরানো হয় বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। গাড়িবহর আটকের পর পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান প্রিয়াঙ্কা।

সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে লখিমপুর যেতে নিষেধ করছে। অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কার দাবি, তাকে আটকানোর অধিকার নেই পুলিশের। তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান তাদের কাছে ওয়ারেন্ট রয়েছে কিনা।

পরে সীতাপুরে একটি গেস্ট হাউসে আটক করে রাখা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। সেখান থেকেই মঙ্গলবার সকালে টুইটারে একটি ভিডিওবার্তায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন প্রিয়াঙ্কা।

তিনি বলেন, ‘মোদিজি, কোনোরকম নির্দেশ ছাড়াই আপনার সরকার আমাকে ২৮ ঘণ্টা ধরে আটক করে রেখেছে। অথচ যে অন্নদাতাদের (কৃষকদের) পিষে দিল সে এখনো বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনার সরকার তাকে ধরছে না কেন?’যতদিন না কৃষকরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার এ ধরনের ঘোষণার পরই কংগ্রেসনেত্রীকে গ্রেফতার করার কথা জানায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা