পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখে পড়েছেন

পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখে পড়েছেন

পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখে পড়েছেন

করোনাকালে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ মানসিক সমস্যা দেখা গেছে। আর পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখে পড়েছেন। আবার শহরের চেয়ে গ্রামে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মানসিক বিপর্যয়ের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

 শনিবার (৯ অক্টোবর) আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে 'বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের প্রভাব'- শীর্ষক জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আফসানা বেগম, সাইকোলজিস্ট দীপন সরকার।

গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর- এই ১৫ দিনে আঁচল ফাউন্ডেশন করোনাকালীন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব সংক্রান্ত জরিপটি চালানো হয়। এতে অংশ নেন ২৫৫২ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। অংশগ্রহণকারী এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৩.৩ শতাংশ ১৮-২৩ বছর বয়সী, ১৫.৮ শতাংশ ২৪-২৮ বছর বয়সী ও ০.৯৪ শতাংশ ২৮ বছরের বেশি। অন্যদিকে লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় জরিপে অংশগ্রহণকারী পুরুষ ৩৯.১ শতাংশ বা ৯৯৯ জন, নারী অংশগ্রহণকারী ৬০.৮ শতাংশ বা ১৫৫২ জন। অর্থাৎ জরিপে নারীদের অংশগ্রহণ সর্বাধিক ছিল।এছাড়াও জরিপটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন অংশগ্রহণকারী রয়েছে, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ০.১ শতাংশ।

জরিপে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অংশগ্রহণকারীদের বহুলাংশ এই করোনা মহামারিতে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার (যেমন- মন খারাপ থাকা, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, নিজেকে তুচ্ছ ভাবা ইত্যাদি) সম্মুখীন হয়েছেন। অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৪.৬ শতাংশ বা ২,১৬০ জন শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যায় ভোগা পরিবার, সমাজ ও দেশকে নিঃসন্দেহে আতঙ্কিত করে তোলে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯৯৯ জন পুরুষ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮০.৩৮ শতাংশ এবং ১৫৫২ জন নারী শিক্ষার্থীর ৮৭.৪৪ শতাংশ এই মহামারিতে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এখানে লক্ষণীয়, পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

করোনাকালীন অবস্থান বিশ্লেষণ করে দেখা যায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী করোনা মহামারিতে শহরে অবস্থান করেছেন। অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীদের ৩০.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে ও ৬৯.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী শহরে অবস্থান করেছেন। যারা ডিপ্রেশনে ভুগেছে তাদের মধ্যে শহরে অবস্থানরত ছিল ৮৪.০ শতাংশও গ্রামে অবস্থানরত ছিল ৮৬.২ শতাংশ। এটি নির্দেশ করে শহরের চেয়ে গ্রামে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মানসিক বিপর্যয়ের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা কোথায় পড়ালেখা করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে দেখা যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন ৪০.২ শতাংশ বা ১০২৬ জন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন ২৮.৭শতাংশ বা ৭৩৩ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও মেডিকেলসহ বাকীদের অংশগ্রহণ ছিলো ৩১.১শতাংশ।

জরিপে উঠে আসে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন যা মোট অংশগ্রহণকারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ৮৬.৮৪শতাংশ। অপরদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী মোট ৭৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯১ জন বা ৮০.৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ধারণা করা যায় অনলাইনে হলেও পড়াশুনা চলমান থাকায় প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক সমস্যার হার তুলনামূলক কম।

এত বেশি শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির যেসব কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তার মধ্য অন্যতম কয়েকটি হলো-
১. শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হওয়া। জরিপে অংশগ্রহণকারী ২৫৫২ জন শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়,৩৮.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের মানসিক অশান্তির হার সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ৮৯.৭০ শতাংশ। যারা করোনাক্রান্ত হননি তাদের চেয়ে ১০.০৮ শতাংশ বেশি।

২. করোনাকালীন মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সঠিক সময়ে না ঘুমানো। জরিপে দেখা যায় যে ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী সঠিক সময়ে ঘুমায় না। পরিমিত পরিমাণে না ঘুমানো শিক্ষার্থীদের মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।

৩. শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে তাদের প্রাত্যহিক কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছেন তাই দিনের বড় একটা সময় তাদের স্ক্রিনের সামনে অতিবাহিত করতে হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯৮.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এর মধ্যে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, মাথা ব্যথা, কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটা অন্যতম। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির আরেকটি বড় কারণ এটি।

এছাড়া জরিপ হতে মানসিক সমস্যার আরো যেসব কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে সেগুলোর শীর্ষে অবস্থান করছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, দ্বিতীয় স্থানে আছে একাকীত্ব। অন্যদিকে সেশনজটকে মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে তৃতীয় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আর্থিক অসচ্ছলতা, হীনমন্যতা, করোনা সংক্রমিত হওয়া ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার ভয়, পারিবারিক কলহ, ক্লাস করার পর্যাপ্ত ডিভাইস না থাকা, পরিবার থেকে বিয়ের চাপ ইত্যাদিসহ নানাবিধ কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জরিপে উঠে আসে।

করোনা সংক্রমনের ভয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দিয়েছে তার প্রভাব হিসেবে বহু শিক্ষার্থীর মধ্যেই পড়ালেখার প্রতি অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় করোনা মহামারিতে পড়ালেখা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ৭৫.৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।অন্যদিকে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির

নিমিত্তে শিক্ষার্থীদের মাত্র ২.৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী কাউন্সিলরের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।বাকিরা এই করোনা মহামারিতে তাদের মন ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন উপায়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এর মধ্যে মুভি / সিরিজ দেখা, অনলাইন কোর্স, বই পড়া, ধর্মীয় দিকে মনোনিবেশ, ভার্চুয়ালি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং ব্যায়াম করা, বাগান করা, গান শোনা, সেবামূলক কাজে যুক্ত হওয়া, ভ্রমণ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ ইত্যাদি অন্যতম।

করোনায় শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আঁচল ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি সামিরা আক্তার সিয়াম বলেন, “করোনার ফলে তরুণরা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে নিজের সাথে। নিজের ও পারিপার্শ্বিকতার সাথে যুদ্ধের ফলাফল হিসেবে বড় ধরণের প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যে। এর ফলে বাড়ছে আত্মহত্যা। তরুণদেরকে বাঁচাতে সবার পক্ষ হতে উদ্যোগ নিতে হবে।"

মানসিক ঝুঁকি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের লিডার সাজিয়া ইফফাত বলেন, “এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে এটি শিক্ষার্থীদের অগ্রসরের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমরা মনে করি পরিস্থিতি বিবেচনায় সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মী হই তবে শিক্ষার্থীরা এই মানসিক সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারবে।"

উত্তরণের পথ নিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন- 'সমস্যাটা এমন যে এটা একপাক্ষিকভাবে সমাধান করা কঠিন। আমরা দেখতে পাই যেসব শিক্ষার্থী ঠিকমতো ঘুমাতে যায় না তাদের মাঝে বিষণ্নতা বেশি। যারা অতিমাত্রায় ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের ডিপ্রেশনের হার বেশি। পরিমিত ঘুম, সঠিক মাত্রায় ডিভাইস ব্যবহার, কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে।'

তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর ভরসার জায়গা হচ্ছে পরিবার। কেউ যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে সে যেন পরিবারের সাথে মনখুলে শেয়ার করতে পারে সেই ধরনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সন্তান এবং বাবা মায়েদের মাঝখানের দূরত্ব কমিয়ে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে সমাজেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর সমাজের অযাচিত চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার ব্যাপারে সবার এগিয়ে আসা জরুরি।'

আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে উঠে আসা বিষয় নিয়ে সাইকোলজিস্ট দীপন সরকার বলেন, করোনাকালে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে, তাদের বন্ধুদের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ কমে যাওয়া, পাশাপাশি নিয়মিত পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন ও সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের উচিত বন্ধু এবং পরিচিত জনদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং নিজের জীবনের লক্ষ্যের প্রতি ফোকাস করে এগিয়ে যাওয়া। সর্বোপরি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া এবং নিয়মিত কাউন্সেলিং নেয়া।

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমাধানে আঁচল ফাউন্ডেশনের ছয়টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে
১) প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া যেন শিক্ষার্থীরা মনের অভিব্যক্তি সহজে প্রকাশ করার সুযোগ পায়।
২) সরকারের 'মনের সুরক্ষা' নামের একটি এপস চালু করা, যার মাধ্যমে সারা দেশের যে কেউই তাদের মানসিক সমস্যা বিশেষজ্ঞের সাথে শেয়ার করতে পারে।
৩) সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে একটি জাতীয় হটলাইন সেবা চালু করা যেতে পারে।


৪) সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ট্রেইনিং, কর্মশালা করা যেতে পারে। যাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আত্মগ্লানি না করতে হয়।

৫) শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুগপৎভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করা যেতে পারে।
৬) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কর্মশালার আয়োজন করা যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের মনের যত্ন নিজেই নিতে পারে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি