ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়েছে ওয়াশিংটন

ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়েছে ওয়াশিংটন

ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়েছে ওয়াশিংটন

আমেরিকা শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা পাকিস্তানকে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়েছে। মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান পাকিস্তান সফরের সময় এই বার্তা দিয়েছেন। ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যায়। বিষয়টিকে আমেরিকা ভালো চোখে দেখছে না; অন্যদিকে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে পাকিস্তান পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছে।

দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, ইসলামাবাদ সফরের সময় ওয়েন্ডি শেরম্যান আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ককে খোলামেলা ভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি পাকিস্তান সফরকে খুবই 'সুনির্দিষ্ট এবং সীমাবদ্ধ উদ্দেশ্যপূর্ণ' বলে মন্তব্য করেন।

ওয়েন্ডি শেরম্যান বলেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি আর দেখছি না এবং ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের সেই দিনগুলোতে আমরা ফিরে যেতে আগ্রহী নই।” ইসলাম সফরের সময় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও বৈঠক করতে চান নি মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারত সফর শেষে তিনি পাকিস্তানে যান সেখানে আফগানিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই ইস্যুতে আলোচনা করেন।

এদিকে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে সফল এবং আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করলেও গার্ডিয়ান বলছে ভিন্ন কথা। পাকিস্তানের একজন শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনো পর্যন্ত ইমরান খানকে ফোন না করায় পাক প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে মনে করা হচ্ছে, আফগানিস্তান ইস্যুতে ইমরান খানের অবস্থানে অসন্তুষ্ট ওয়াশিংটন।

সূত্র: পার্সটুডে