জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা

জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা

জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা

জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটি।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয় যে, আলোচনা সভা, সেমিনার-এর নামে কোন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, জিহাদ স্মৃতি পরিষদ, জিয়া পরিষদ এবং কোন দলের রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচি ভবিষ্যতে বন্ধ থাকবে বলে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিএনপি।

এদিকে রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচী বন্ধ করা নিয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অন্য সব ধরণের অনুষ্ঠান করতে পারবে। কিন্তু শুধু সমাবেশ ও দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।তবে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক বলেও জানান প্রেসক্লাবের সভাপতি।

তিনি বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ঘরোয়া অনুষ্ঠানের কথা বলে পল্টন ময়দানের সমাবেশের মতো হয়ে যাচ্ছে। তারা এসে নানা ধরণের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছে এবং ক্লাব সদস্যদের পারলে মারধর করে, গাড়ি ভাঙচুর করে এমন অবস্থা। যার ফলে ক্লাবের সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছিল।

মিজ ইয়াসমিন জানান, এর আগে ওই রাজনৈতিক দলগুলোকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকবার প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু তারা হলরুম ভাড়া দেয়ার শর্ত মানেনি।

তিনি বলেন, কয়েকটি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যারা বার বার অঘটন ঘটিয়েছে। ভাঙচুর, হলরুমের ক্ষতি করা, কাঁচ ভাঙা, গাড়ির ক্ষতি করা- এসব কারণে সমাবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।"তবে এসব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং তারা শর্ত মেনে ভালভাবে অনুষ্ঠান করতে পারলে তাদের জন্যও প্রেসক্লাব উন্মুক্ত থাকবে," বলেন তিনি।

বিএনপি'র প্রতিক্রিয়া

জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ ও কর্মসূচি বন্ধ থাকার ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ সমস্ত জায়গাকে পরিকল্পিতভাবে সংকুচিত করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আগে পল্টন ময়দানে নানা ধরণের দলীয় কর্মসূচী পালন করা হতো, সেটিকে ক্ষমতায় আসার পর স্টেডিয়াম করে দেয়া হয়েছে, মুক্তাঙ্গনকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, মানিক মিয়া এভিনিউতে বড় বড় সভা হতো, সেখানেও ডিভাইডার দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।"প্রেসক্লাবের সামনে ছোট একটা জায়গা ছিল সেটাও বন্ধ করে দেয়া হলো," বলেন তিনি।

মি. আলমগীর বলেন, "প্রেস ক্লাবে ৯০-এর আন্দোলনের নেতাদের একটা অনুষ্ঠান ছিল যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিলেন ভার্চুয়ালি। এটা তারা সহ্য করতে পারলো না।"এরপরেই বিষয়টি নিয়ে নানা ধরণের সমালোচনা শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সূত্র : বিবিসি