ঢাকার শহরে বেড়েই চলেছে মোবাইল ছিনতাই

ঢাকার শহরে বেড়েই চলেছে মোবাইল ছিনতাই

ছবি : প্রতীকি

মোবাইল বর্তমান সময়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা ডিভাইস। যোগাযোগের সাথে তাল মিলেয়ে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ডকুমেন্টস জমা রাখে এখানে। কেননা খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মোবাইলের মাধ্যমে যে কোন যায়গায় সহজে বহনযোগ্য বলে গুগল ড্রাইভে এবং গ্যালারিতে এদের স্থান হয়। এতে যেমন যে কোন মুহুর্তে যে কোন তথ্য সরবরাহ করা যায় ঠিক তেমনি তথ্য তথা ডকুমেন্টস হারানোর ভয় কম থাকে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি ঢাকার রাস্তায় মোবাইল নিয়ে হাঁটাচলা করা বেশ ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় যে কোন যায়গা থেকে ছিনতাই হয়ে যায়।পাশাপাশি ছুরিকাঘাত করেও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় হরহামেশাই। এসব ছুরিকাঘাতে অনেকে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করছে। ইদানিং মোহাম্মদপুরের বেরিবাধ ৩ রাস্তার মোড়ে মোবাইল চুরির আড্ডাখানায় পরনত হয়েছে।

 দৈনিক শতশত মোবাইল, মানিব্যাগ, ল্যাপটপ হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কোন একটা মহল। এমন ভাবেই তাদের কারুকার্য যে, কেউ বলতেই পারেনা তার প্রয়োজনীয় ডিভাইসটা নিয়ে যাচ্ছে। ২৫ তারিখ বেলা ৯ টায় ঢাকা কলেজের মাস্টার্স ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সবুজ হোসেন ভাইবার উদ্দেশ্য বাসে উঠতে গিয়েই তার মোবাইল ফোনটা হারিয়েছে। সাথে সাথে মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করছে। জিডি নম্বর ১৯৮২। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

সবুজের চাকরির পরীক্ষা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মোবাইলে ছিল। যেটা হারিয়ে উনার জন্য একটা বৃহৎ সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। পাশাপাশি উনি একটা ভয়ে ও আছেন যে কোন তথ্য নিয়ে এসব মহল কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি করবে কি না। তিনি এ সমস্যার প্রতিকার চাচ্ছেন। এভাবেই নিত্যদিন চলছে এখানে বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা।

 এভাবে চলতে থাকলে এ এলাকার মানুষ সহ পথচারীরা নির্বিকার ভাবে চলাচল করতল পারবে না। তাদের মধ্যে সবসময় একটা ভয়ভীতি থাকবে। পাশাপাশি এসব ডিভাইস থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন হাতছাড়া হচ্ছে ঠিক একইভাবে এসব প্রতারক চক্র এসব তথ্য দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতেও পারে। যেটা ভুক্তভোগীর জন্য সীমাহীন কষ্ট হবে।

এমতাবস্থায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অতিদ্রুত রাজধানীর এ কোলাহলপূর্ণ যায়গায় পুলিশের নজরদারি বাড়তে হবে। প্রকৃত অপরাধীদের খুজে বের করতে হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

 মো.সায়েদ আফ্রিদী শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ডিপার্টমেন্ট : উদ্ভিদবিদ্যা,  সেশন :২০১৭-১৮ ।