চোখের সুরক্ষায় করণীয়

চোখের সুরক্ষায় করণীয়

ফাইল ছবি

দিনে কতঘণ্টা ল্যাপটপ বা মোবাইল বা টেলিভিশনের সামনে ব্যয় করেন? ফোনে স্ক্রিন টাইম চেক করতে পারেন। অনলাইন ক্লাস বা কাজের সময় যোগ করতে পারেন। তাহলে ফলাফল কী হল? আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এটি আপনার চোখে কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে? গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই গ্যাজেটগুলি থেকে নির্গত রশ্মি আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকারক। পর্যাপ্ত পরিচর্যায় চোখের স্বাস্থ্যের চিকিৎসা এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য বজায় রাখা যায়।

আমাদের চোখের সুস্থ থাকার জন্য প্রাকৃতিক আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিত্‍সকদের মতে, চোখের যত্নের জন্য প্রতি বছর একবার করে চক্ষু পরীক্ষা করা উচিত। দিনে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ডুবে থাকলে এমনিতেই চোখের সমস্যা শুরু হওয়া স্বাভাবিক। এই সব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে কী কী মাথায় রাখা দরকার, তা জেনে নিন-

সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান:

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার খাওয়া উচিত। ডায়েটে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার। চোখের দৃষ্টি ও সুস্থ থাকতে ডায়েটের দিকেও নজর দেওয়া দরকার।

ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি:

অতিবেগুনি বিকিরণ থেকে চোখকে প্রতিরোধ করুন। সূর্য হল ইউভি এবং আলোর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক উৎস। সকালের দিকে বা ভোরবেলায় সূর্যের আলো চোখের জন্য ভাল, তবে সরাসরি সূর্যের দিকে তাকাবেন না যেন।

কৃত্রিম উৎস: 

বাল্ব, টিউবলাইট ব্যবহৃত এলইডি বা এলসিডি-সহ অনেক আলোর কৃত্রিম উত্‍‌সের সংস্পর্শে আমরা বেশিই থাকি। এছাড়া টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ প্রভৃতিও দেখা হয়। সূর্যের মতো শক্তিশালী না হলেও দীর্ঘক্ষণ চোখের সান্নিধ্যে থাকলে চোখের উপর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে।

ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিধি:

২০-২০-২০ নিয়ম। তারমানে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর একজন ব্যক্তিকে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকাতে হবে। এতে চোখের পেশি শিথিল হয়। চোখের সুস্থতার জন্য এই নিয়ম অবশ্যই পালন করা আবশ্যিক।

ধূমপান ত্যাগ করা:

বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও ছানির সঙ্গে ধূমপান সংযুক্ত রয়েছে। ধূমপান আপনার দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনাকে দ্বিগুণ করে তোলে। এছাড়া ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত দৃষ্টি সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

প্রতি বছর চক্ষুপরীক্ষা:

চিকিত্‍সকদের মতে, প্রতি বছর চোখের পরীক্ষা করানো উচিত। চোখ সুস্থ রাখতে আপনি যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন তা হল নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা। চোখের চশমার প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণ করার চেয়ে চোখের পরীক্ষা আরও বেশি জরুরি।