ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচন : এক দিকে নতুন কমিটি, অন্য দিকে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচন : এক দিকে নতুন কমিটি, অন্য দিকে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচন : এক দিকে নতুন কমিটি, অন্য দিকে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। গত ২০ নভেম্বর সংগঠনটির নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণার পর থেকেই ভোট গণনায় বিধি লঙ্ঘনের তুলে ভোট পূণঃগণনার দাবি জানিয়ে আসছিল একটি পক্ষ। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে একাধিকবার আবেদনও করেন। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেণ তারা।

এরমাঝেই নির্বাচিতদের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষ। সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানা গেছে, সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে ৩০ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এরমধ্যে দুই পক্ষের ১৫ জন করে শিক্ষক অংশ নেন। নির্বাচনে শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১৫ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে এক পক্ষে নয় জন এবং অন্য পক্ষের ছয় জন শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীদের মধ্যে সংখ্যালঘিষ্ট দলের সদস্যরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষিত ফল বাতিল করে পুণরায় ভোট গণনার দাবি করেন।

শনিবার তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোট গণনায় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব ও ফল কারচুপির অভিযোগ করেন। তাদের দাবী, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী নীতিমালা না মেনে কিছু প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা রেখেছেন। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কিছু প্রার্থীর ভোট বাতিল করার নিমিত্তে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যাবহার করেছে, যা নজির বিহীন। নির্বাচনী বিধির দুই ও পাঁচ নম্বর ধারা অনুযায়ী ত্রুটিপূর্ণ ভোটের ক্ষেত্রে ব্যালট বাতিলের নিয়ম থাকলেও তা লঙ্ঘন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাত নং ধারায় প্রদত্ত কমিশনের বিশেষ ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছেন।

তারা আরো বলেন, আমরা ফল মেনে না নিয়ে একাধিকবার ভোট পুণঃগণনার দাবি জানানোর পরেও নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা শাপলা ফোরামের ঐক্য রক্ষার পরিপন্থী। এ ছাড়া নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যেভাবে বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে তাতে শাপলা ফোরামের নির্বাচনে প্রশাসনের পরোক্ষ হস্তক্ষেপের ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। তারা ত্রুটিপূর্ণ ভোট সংশ্লিষ্ট ব্যালটগুলো শনাক্ত করে ভোট পূণঃগণনার দাবি জানান।

শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়েরর ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নির্বাচনে বিজয়ীদের সংখ্যালঘিষ্ঠ পক্ষের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মাহবুববর রহমানসহ অন্যান্য সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ বলেন, ‘প্রেস কনফারেন্স গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট গণনাকালে উভয় পক্ষের প্রতিনিধি ছিল। যদি পক্ষপাতিত্ব হয়ে থাকে তবে সংক্ষুব্ধ পক্ষের প্রতিনিধিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত করানো প্রয়োজন ছিল। আমরা যথেষ্ট স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করেছি।’