শরণার্থী সংকট: ইংলিশ চ্যানেল পাহারায় বিশেষ বিমান

শরণার্থী সংকট: ইংলিশ চ্যানেল পাহারায় বিশেষ বিমান

শরণার্থী সংকট: ইংলিশ চ্যানেল পাহারায় বিশেষ বিমান

গত বুধবার ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবিতে ১৭জন পুরুষ সাত নারী এবং তিনজন শিশুর মৃত্যু হয়। ইংলিশ চ্যানেলে এত বড় দুর্ঘটনা এর আগে হয়নি। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে জরুরি আলোচনার ডাক দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনের কথা জানায়। রোববারের বৈঠকে জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যুক্তরাজ্য বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করে। এর মূল কারণ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁকে লেখা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের খোলা চিঠি।

চিঠিতে এই দুর্ঘটনার জন্য কার্যত ফ্রান্সকেই এককভাবে দোষী করেছেন বরিস। দুইপাতার চিঠিতে ইংলিশ চ্যানেলে শরণার্থীদের যাতায়াত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বরিস জনসনের খোলা চিঠি পেয়ে স্বভাবতই প্রত্যাঘাত করেছে ফ্রান্স। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মাক্রোঁর মন্তব্য, ''বরিস সিরিয়াস নন।'' এরপরেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। প্যাটেল বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করেন।

রোববারের বৈঠকে ফ্রান্স ছাড়াও উপস্থিত ছিল জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলি। সকলেই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন, যেভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে শরণার্থীরা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন, তা বন্ধ করতে হবে। ওই অঞ্চলে গড়ে ওঠা পাচারকারী সংস্থাগুলির উপর নজরদারি চালাতে হবে। দেখতে হবে, যাতে একটিও নৌকা চ্যানেলে নামানো না হয়। এর জন্যই ফ্রনটেক্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের বিমান দিবারাত্র ইংলিশ চ্যানেলের উপর টহল দেবে বলে ঠিক হয়েছে।

বৈঠকে বলা হয়েছে, প্রাণের দায়, পেটের দায়ে শরণার্থীরা ইউরোপে ঢুকতে চাইছেন। আফগান, ইরাকি, সিরিয়ান, সুদানের শরণার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেলে আর প্রাণহানি হতে দেওয়া যাবে না। ফলে যারা শরণার্থীদের ছোট ছোট নৌকায় তুলে দিচ্ছে, তাদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। অবৈধভাবে ইউরোপে আর শরণার্থী ঢোকানো যাবে না।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে