মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের এমপি পদের বৈধতা চালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে জামালপুর-৪ আসনের এমপি মুরাদ হাসানে কর্মকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর মঙ্গলবার দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসৌজন্যমূলক ও আপত্তিকর অডিও ফাঁস হওয়ার পর সোমবার রাতেই ডা. মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিত্বের পর দলীয় পদও হারান মুরাদ হাসান। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসাথে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এতে তিনি হারাতে পারেন জাতীয় সংসদের সদস্যপদও।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাঁচ মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ১৯ মে তাঁকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরে গতকাল তিনি পদত্যাগ করেন।