বেজিং অলিম্পিক: কূটনৈতিক বয়কটে অস্ট্রেলিয়াও

বেজিং অলিম্পিক: কূটনৈতিক বয়কটে অস্ট্রেলিয়াও

বেজিং অলিম্পিক: কূটনৈতিক বয়কটে অস্ট্রেলিয়াও

সোমবার জানিয়েছিল আমেরিকা, মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়া  কোনো সরকারি অফিসারকে পাঠাবে না। চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক দূরত্ব তৈরি করাই এর কারণ। তবে ৪০ জন খেলোয়াড় বেজিং অলিম্পিকে অংশ নেবেন বলেও জানানো হয়েছে।

আমেরিকা সরাসরি 'গণহত্যা' শব্দটি ব্যবহার করেছিল চীনের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়া তা ব্যবহার না করলেও একই বিষয় উত্থাপন করেছে। অস্ট্রেলিয়ার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চীন মানবাধিকার লঙ্গন করছে। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কড়া এবং অসহিষ্ণু ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ বিষয়ে কথা বলতেও চায়নি তারা। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলেও কথা বলতে চায় না চীন। একাধিক বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলে কথা বলতে চেয়েছে, কিন্তু চীন গুরুত্ব দেয়নি। এরই প্রতিবাদে তারা বেজিং অলিম্পিক কূটনৈতিক স্তরে বয়কট করছে।

চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক

অস্ট্রেলিয়ায় চীনের বিশাল বাজার। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য পার্টনার চীন। তবে ২০১৮ সাল থেকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। করোনাকালে তা আরো খারাপ হয়। অন্যদিকে, তাইওয়ান এবং হংকং নিয়েও সরব অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ চীন সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাজনীতিতে চীনের একাধিপত্য বন্ধ করতে অ্যামেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে কূটনীতিকরা মনে করছেন,আমেরিকার ঘোষণার পরেই বেজিং অলিম্পিক বয়কটের যে সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়া নিল, তা চীন ভালো চোখে দেখবে না। আমেরিকার বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই সরব হয়েছিল চীন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তের পর এখনো তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে