আমেরিকা-ইসরাইলের হামলার হুমকি নিতান্তই তর্জন-গর্জন’

আমেরিকা-ইসরাইলের হামলার হুমকি নিতান্তই তর্জন-গর্জন’

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে যে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে তা থেকে সরে না গেলে তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে আমেরিকা ও ইসরাইল যে হুমকি দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা তাকে নিতান্তই তর্জন-গর্জন বলে উল্লেখ করেছেন।

ইরানের প্রেস টিভির স্পটলাইট প্রোগ্রামে জাতিসংঘের সাবেক অস্ত্র পরিদর্শক স্কট রিটার এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, যেকোনো যুক্তি গ্রহণকারী ব্যক্তির কাছে একথা পরিষ্কার হবে যে, সামরিক অপশন টেবিলে নেই। রিটার জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য আমেরিকা প্রস্তুত নয়। তাছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে অর্থবহ এবং টেকসই বিমান অভিযান চালানোর ক্ষমতা ইসরাইলের নেই। ফলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ব্যাপারে যত হুমকি-ধমকি তার সবই নিতান্তই তর্জন গর্জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পেন্টাগন বলেছে, আমেরিকা এবং  ইসরাইল ইরানের পরমাণু উসকানি সম্পর্কে যৌথভাবে আলোচনা করেছে। এরপর স্কট রিটার প্রেস টিভিকে সব কথা বললেন।  ইসরাইল বহুদিন থেকেই বলে আসছে- ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য চেষ্টা করছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি তারা কখনোই বন্ধ করে নি।

২০১৫ সালে শুরু হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে ইসরাইল। এখন নতুন করে যখন পরমাণু সমঝোতা পুনর্বহাল এবং তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরান ও পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে তখন দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে তেল আবিব।

পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে গেলে ইরানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই সমঝোতার কিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত রেখেছে। ইসরাইল ও আমেরিকা বলছে, ইরানের এই পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য। তবে ইরান তার অবস্থানে অটল রয়েছে।-পার্সটুডে