ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের ভরাডুবি

ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের ভরাডুবি

অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান ও অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের ভরাডুবি ঘটেছে। নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষসহ ১০টিতে বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের শিক্ষকরা জয়লাভ করেছেন। বাকি পাঁচ পদে জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থীরা। 

নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপি-জামায়াত প্যানেল থেকে হিসাব বিজ্ঞান তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামীপন্থীদের সংগঠন শাপলা ফোরামের প্রার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার রাত আটটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. কে এম আব্দুস সোবহান ফল ঘোষণা করেন। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪২৭ নম্বর কক্ষে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে ৩৯০ জন ভোটারের মধ্যে ৩৪৬ জন শিক্ষক ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে তিনটি ভোট বাজেয়াপ্ত হয়। 

নির্বাচনে সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান সর্বোচ্চ ১৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। এ পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান ১৩১ ভোট পেয়েছেন। 

বিএনপি-জামায়াত প্যানেল থেকে নির্বাচিত অন্যরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহা. মিজানুর রহমান (১৫৩), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বারী (১৬৫), সদস্য অধ্যাপ ড. শাহিনুজ্জামান (১৭৩), অধ্যাপক ড. আব্দুস শাহীদ মিয়া (১৬৯),  অধ্যাপক ড. খোদেজা খাতুন (১৬৮), অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম (১৬৭), অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান (১৬৬), অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার (১৬৫) ও  অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম (১৬২)।

আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের প্যানেল থেকে নির্বাচিত অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড.  আনোয়ারুল হক (১৬৬), সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফীন (১৭১), অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন (১৬৪) ও  অধ্যাপক ড. শামসুল আলম (১৬১)।

নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান বলেন, 'নির্বাচনে আমরা নির্দিষ্ট একটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা সকলের প্রতিনিধি। নতুন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।