ওমিক্রনের ধাক্কায় ভারতে শেয়ারবাজারে বিপুল ধস

ওমিক্রনের ধাক্কায় ভারতে শেয়ারবাজারে বিপুল ধস

ওমিক্রনের ধাক্কায় ভারতে শেয়ারবাজারে বিপুল ধস

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভ্যারিয়ন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ। আর এর জের ধরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে সুদ বৃদ্ধি। যা দেখে শেয়ার বেচছে বিদেশী লগ্নিকারী সংস্থাগুলো। এই তিন ঘটনার ফলে গত শুক্রবারের পরে সোমবার বিপুল পতনের মুখ দেখল ভারতের শেয়ার বাজার। এ দিন সেনসেক্স পড়েছে ১১৮৯.৭৩ পয়েন্ট। গত দু’দিন মিলিয়ে ২০৭৯.১৩ পয়েন্ট। যার জেরে বিএসই-র লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ১১.৪৫ লাখ কোটি রুপির শেয়ার সম্পদ। নিফ্‌টিও এ দিন পড়েছে ৩৭১ পয়েন্ট।

বাজার মহলের বক্তব্য, ওমিক্রন রুখতে নেদারল্যান্ডসে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। কড়াকড়ি করছে জার্মানি। ব্রিটেন ও আমেরিকাও সেই পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা। ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ের মতো যে সব দেশ গত কয়েকটি ঢেউয়ে তেমন ধাক্কা খায়নি, তাদের ঘিরেও এ বার আশঙ্কা বাড়ছে। ফলে লগ্নিকারীরা বাজার আরো পড়ার আশঙ্কায় শেয়ার ধরে রাখতে চাইছেন না।

তার ওপরে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকায় গত সপ্তাহেই সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে শীর্ষ ব্যাংক ফেডারাল রিজার্ভ। বলেছে মার্চের মধ্যে ত্রাণ প্রকল্প গোটানোর কথাও। ইতিমধ্যে সুদ বাড়িয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এর জেরে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজার থেকে লগ্নি ওই সব দেশে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই হাত খালি করতে শুরু করেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলো। দু’দিনেই তারা ভারতের বাজারে শেয়ার বেচেছে ৫৬৩৫.২৬ কোটি রুপির। সোমবার ৩৫৬৫.৩৬ কোটির।

তবে ভারতের বাজার নিয়ে এখনই আশঙ্কার কারণ তৈরি হয়েছে, তা মনে করেন না বিশেষজ্ঞ অজিত দে। তার মতে, সূচক যে ভাবে রকেট গতিতে বেড়েছিল, তাতে সংশোধন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওমিক্রনের কারণে যে গতিতে হয়েছে, সেটা অবশ্যই স্বাভাবিক নয়। মহামারির সমস্যা কিছুটা মিটলেই ফের সূচক উঠবে।

ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালও বলেন, ভারতের আর্থিক ভিত যথেষ্ট মজবুত। আগাম আয়কর এবং জিএসটি আদায় বেড়েছে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থাগুলির আর্থিক ফল ভাল হবে বলেই আশা। যার ইতিবাচক প্রভার পড়বে বাজারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা