পাবনায় বিদ্রোহীদের চাপে অসস্তিতে নৌকার প্রার্থীরা!

পাবনায় বিদ্রোহীদের চাপে অসস্তিতে নৌকার প্রার্থীরা!

ফাইল ছবি

পাবনা প্রতিনিধি:চতুর্থ ধাপে নির্বাচনের দোলাচলে পাবনায় নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের চাপে অসস্তিতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ইতোমধ্যেই তিনটি ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের আক্রমনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায়  নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের প্রতি সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে।

নির্বাচনী সহিংসতায় ৩জন নিহতের ঘটনায় দাগ কেটেছে ভোটারদের মনে। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় অনেক নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। সবমিলে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অসস্তিবোধ বিরাজ করছে বলেও বেশ কয়েকজন জেলা পর্যায়ের নেতা মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।  

পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতার কারণে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের গুলিতে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী নিহত হন। এদিন  মেয়র পদে নির্বাচন হবে আটঘরিয়ায়। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন সমর্থক নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের হামলায় নিহতের ঘটনায় ভোটারদের মনোভাব দিগ পাল্টানো অবস্থা। 

পরাজয়ের শঙ্কায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান ও মেয়র প্রার্থী। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন হলে ১৯ ইউনিয়নের মধ্যে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবির আশংকা রয়েছে বলে মাঠ পর্যায়ের জরিপে এমনটিই মনে হচ্ছে। শঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ভোটাররা।

কয়েকটি ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী দিনে নৌকার পক্ষে কাজ করলেও গোপনে তারা আসলে স্বতন্ত্র বিদ্রোহীদের পক্ষেই কাজ করছেন। সেই সাথে রয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ভোট। নৌকার প্রার্থীরা এসব কারণে স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। অনেকের ধারণা এবার ঘটে যেতে পারে অন্য রকম ঘটনা।

পাবনা সদরসহ ৩টি উপজেলার ১৯ ইউনিয়নে ও আটঘরিয় পৌরসভায়  ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী  রোববার (২৬ ডিসেম্বর )।