আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা-পুলি। যখনই শীতের আমেজ আসে তখনি পীঠা-পুলি, পায়েস কিংবা নাড়ুর কথা আমাদের মনে ভেসে ওঠে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাঙালী ঐতিহ্য ধারন করে আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অয়োজিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে বিভিন্ন পর্বে উত্তরায় অবস্থিত কলেজ ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ১০ টায় স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়।

সকাল ১১ টায় স্কুল এন্ড কলেজের কো-অর্ডিনেটর নাজমুল হোসাইন ও রাশিদুল হাসান শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।  এসময় আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকবৃন্দ এবং ইংরেজি ভার্সন ও বাংলা ভার্সনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা আল্লাহর সেরা নেয়ামত। যাদের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করছি। একইসাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

বক্তারা আরও বলেন,  পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান বাঙালী ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে  চাই।

অনুষ্ঠানে হরেম রকমের পিঠার পসরা নিয়ে বিভিন্ন স্টল সাজানো হয়। শীতের সকালে এসব স্টলে পুলি পিঠা, চিতাই পিঠা, ভাপা পিঠা, জামাই পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা স্থান পায়।

শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহে অনুষ্ঠান স্থল কোলাহল মূখর হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে আসা এক শিক্ষার্থী উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন,  পিঠা শুধু খাবার নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে।

পরে আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, কবিতা আবৃতি ও অভিনয় করেন। 

আকিজ ফাউন্ডেশন পরিচালিত স্কুল এন্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সেন ১১শত শিক্ষার্থী এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাংলা ভার্সনে আরো ৩ শত শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে।