২৪ ঘণ্টায় ভারতে লাফিয়ে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

 লাফিয়ে বাড়া বোধ হয় একেই বলে। দিন তিনেক আগেও দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ৬ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল, বৃহস্পতিবার সেটাই ছুঁয়ে ফেলল ১৩ হাজারের গণ্ডি। আর এর নেপথ্যে যে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন সেটা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। খাতায় কলমে দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাটাও প্রায় হাজেরখানেক। যা বর্ষবরণের আগে রীতিমতো হৃদস্পন্দন বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ১৫৪ জন করোনাআক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬১ জন। আগের দু’দিনের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাটাও অনেকটা বেড়েছে। শুধু দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত ২৬৩ জন। মহারাষ্ট্রে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫২ জন। মারণ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬৮ জন। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৬০ জন।

আরও উদ্বেগের বিষয় হল, একদিনে হঠাত করে করোনার অ্যাকটিভ কেস বেড়ে গিয়েছে ৫ হাজার ৪০০ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ৮২ হাজার ৪০২ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৭৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৬ জন।

ওমিক্রন তথা সার্বিক করোনা পরিসংখ্যানে এই হঠাত বৃদ্ধিতে চিন্তিত গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই আলাদা আলাদা করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন রাজ্য। মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বর্ষবরণের উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লিতেও দ্রুত বিধিনিষেধ আরও কড়া করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত। এদিকে, আজই উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

 সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন