জাতিসঙ্ঘের খাদ্য গুদাম লুট, দারফুরে কারফিউ জারি

জাতিসঙ্ঘের খাদ্য গুদাম লুট, দারফুরে কারফিউ জারি

জাতিসঙ্ঘের খাদ্য গুদাম লুট, দারফুরে কারফিউ জারি

সুদানের উত্তর দারফুরে জাতিসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের এক খাদ্য গুদামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের লুটপাটের ঘটনায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এই সংবাদ জানানো হয়।

এর আগে বুধবার জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, উত্তর দারফুরের রাজধানী আল ফাশেরের খাদ্য গুদাম থেকে এক হাজার সাত শ’ টনের বেশি খাদ্য অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা লুট করে। লুট করা খাবারে মোট সাত লাখ ৩০ হাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের এক মাসের খোরাকির ব্যবস্থা হতো।

জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়ক খারদিয়াতা লো এন’দিয়াইয়ে বিবৃতিতে বলেন, ‘সুদানের প্রতি তিনজনে একজনের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। এই ধরনের হামলা দুর্গত মানুষকে সহায়তা দিতে আমাদের সক্ষমতাকে প্রচণ্ডভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সুদানের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সুদানজুড়ে মানবিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ও সম্পদের রক্ষা ও নিরাপত্তা দেয়ায় যথার্থ পদক্ষেপ নেয়ার।’

এদিকে দারফুর অঞ্চলের গভর্নর মিনি মিনায়ি এই ঘটনাকে ‘বর্বর কর্মকাণ্ড’ বলে এক টুইট বার্তায় নিন্দা জানিয়েছেন। একইসাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের ‘বিচারের মুখোমুখি’ করা হবে বলে টুইট বার্তায় জানান তিনি।

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস লুটপাটের ঘটনায় সুদানের সরকারের কাছে দেশে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং আল ফাশেরে জাতিসঙ্ঘের প্রকল্পের কাজে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দারফুরে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তের ঘোষণা করা হয়। ২০০৩ সালে অঞ্চলটিতে সহিংসতার জেরে জাতিসঙ্ঘ এই অঞ্চলে শান্তি মিশনের কার্যক্রম শুরু করে।তবে শান্তি মিশনের কার্যক্রম শেষ হলেও ওই অঞ্চলে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

সূত্র : আলজাজিরা