ইরানের হয়ে গোয়েন্দাগিরি, অভিযুক্ত ৫ ইসরাইলি

ইরানের হয়ে গোয়েন্দাগিরি, অভিযুক্ত ৫ ইসরাইলি

ইরানের হয়ে গোয়েন্দাগিরি, অভিযুক্ত ৫ ইসরাইলি

ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেত ইরানের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করার অভিযোগে চার নারীসহ মোট পাঁচ ইসরাইলি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই খবর জানায় জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, অভিযুক্ত পাঁচজনই ইরান থেকে আসা ইহুদি ইসরাইলি।

খবরে বলা হয়, ইরানের গোয়েন্দা অপারেটর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই তাদের পাঁচজনকে বেছে নিয়েছিলেন। ওই অপারেটর নিজেকে ইরানি ইহুদি পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে চার নারী ও এক পুরুষের সাথে যোগাযোগ করেন। তারপর তাদের সাথে তিনি কয়েক বছর ধরে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও করেছেন। তাদের দায়িত্ব ছিল মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি তুলে পাঠানো।

কয়েকজন নারীর সন্দেহ ছিলো, অন্য পুরুষটিই আসলে ইরানের হয়ে কাজ করেছেন। তবে তারা কাজের বিনিময়ে অর্থ নিয়েছেন বলে শিনবেত জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত গোয়েন্দা সংস্থাকে ধন্যবাদ দিয়ে জানিয়েছেন, তারা একটা সন্ত্রাসী চক্রান্ত ধরে ফেলেছে। তিনি ইসরায়েলের মানুষকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে কোনো সন্দেহজনক পোস্ট দেখলেই তারা যেন কর্তৃপক্ষকে জানান। কারণ, সামাজিক মাধ্যমে ওই পোস্টের পিছনে তেহরান থাকতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।একজন অভিযুক্ত নারী তার স্বামীর সঙ্গে গিয়ে তেলআবিবে মার্কিন দূতাবাসের ছবি তুলেছিলেন। একই নারী স্থানীয় একটি শপিং সেন্টারের বিস্তারিত তথ্য ও সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, তা জানিয়েছিলেন।

ওই নারী তার ছেলেকে গোয়েন্দা বিভাগে সামরিক সার্ভিসে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিল। তার ছেলের ফারসি ভাষার উপর দখল কতটা সেটাও ইরানের অপারেটর ফোনে যাচাই করে দেখেছিলেন বলে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে।৫৭ বছর বয়সি আরেক নারী বিভিন্ন কাজ করে পঁচ হাজার ডলার পেয়েছিলেন। ওই নারীও তার ছেলেকে সিক্রেট সার্ভিস ইউনিটে যোগ দিয়ে তার মিলিটারি আইডির ছবি ইরানের এজেন্টের কাছে পাঠাতে বলেছিলেন।

ওই নারীও ট্রাম্প জামানায় জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাসের ছবি তুলে পাঠিয়েছিল।ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই গোয়েন্দাগিরির চেষ্টা রীতিমতো গুরুতর অপরাধ।তবে তারা মনে করছে, গোয়েন্দাগিরির কাজে খুব একটা সাফল্য পায়নি পাঁচ অভিযুক্ত।

অভিযুক্তদের নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে।ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টারনেট জগতে রীতিমতো সক্রিয় এবং এটাকে তারা গুপ্তচরবৃত্তির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি তাদের তৎপরতা আরো অনেকটাই বেড়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে