শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত

শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত

ফাইল ছবি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২৩ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। এর মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থী সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। 

আন্দোলনরত বাকি শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে বসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক সপ্তাহেও সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় উপাচার্য ভবনের সামনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মশাল মিছিল করেছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন নয়জন ছাত্রী ও ১৫ জন ছাত্র। অনশনে বসা জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, এই ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।

বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যে বাংলা বিভাগের মোজাম্মেল হক এবং সমাজকর্ম বিভাগের দীপান্বিতা বৃষ্টি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা। পরে অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে যেন দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায় এজন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের চতুর্থ দিন বিকালে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তাতে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।

ওই ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নির্দেশ উপেক্ষা করে হলে অবস্থান করেন। উল্টো তারা উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে নতুন আন্দোলন শুরু করেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর পর পুলিশই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। গুলিবর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ আনা হয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। সে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে উত্তাল হয়ে পড়ে শাবিপ্রবি।