পাবিপ্রবি ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

পাবিপ্রবি ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

পাবিপ্রবি ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

পাবনা প্রতিনিধি:পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠছে। গণিত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতাসহ নানা অনিয়ম ও একই বিভাগের চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের  সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুরুজ মিয়া আপেল, মুগফুর রহমান শোভন, কাকলী আক্তার মিতা, সাম আরা প্রমুখ।

মানববন্ধনে ছাত্ররা বলেন, ভিসির  মেয়াদ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। যাওয়ার সময়ে নানা ধরণের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে যাচ্ছেন। নিজের খেয়াল খুশিমত ইচ্ছে মাফিক অনিয়ম ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্য, অদক্ষ জনবল নিয়োগ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করছেন এবং গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এর লাঞ্ছিতের ঘটনার তীব্রনিন্দা ও ১০১ টি দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগের তদন্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধারের দাবি জানান তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শিক্ষক হারুনুর রশিদ নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাল চান না এমন কয়েকজন ছাত্রদের উস্কানী দিয়ে এ সব করাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, কোন শিক্ষককে কেউ লাঞ্ছিত করেনি। এটি নাটক সাজানো হচ্ছে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম করেছেন। অনিয়মে বাধা দেয়ায় উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হারুনুর রশিদকে লাঞ্ছিত করেছেন।লাঞ্ছনার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অধ্যাপক হারুনুর রশিদ।

এর আগে পাবনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, গণিত বিভাগে দুই জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী তিনি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডে প্রবেশ করতে গেলে তাকে বাধা দেয়া হয়। এ সময় ভিসির নির্দেশে তাকে কর্মচারীরা লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ড. হারুনুর রশিদকে লাঞ্ছিত করা হয়নি।

জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ড. হারুনুর রশিদ নিজের স্ত্রীর নিয়োগ নিশ্চিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী, নিকটাত্মীয় চাকরি প্রার্থী হলে নিয়োগ বোর্ডে থাকা যায় না। এই নিয়ম মেনে চলার জন্য ড. হারুনকে অনুরোধ করা হয়েছে। লাঞ্ছিত করার অভিযোগ মিথ্যা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সমীরণ কুমার সাহা বলেন, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যানের অনুসারী কিছু ছাত্র-ছাত্রী মানববন্ধন করতে পারে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই।