সিনহা হত্যা মামলা : প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড

সিনহা হত্যা মামলা : প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড

সিনহা হত্যা মামলা : প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এপিবিএন এর ৩ সদস্য সহ ৭ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ এ রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। রায়ের পর্যবেক্ষণে এই হত্যাকাণ্ডকে পূর্বপরিকল্পিত বলে আখ্যায়িত করেছেন বিচারক। এর আগে দুপুর ২টার দিকে ওসি প্রদীপসহ মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কক্সবাজার কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে আলোচিত এই মামলার ৩০০ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

আলোচিত এ মামলার আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। রায় ঘোষণার সময় সিনহার বোন, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও তার স্বামী আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শাপলাপুর পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর র? র‌্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম একই বছরের ১৩ই ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকা-কে একটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।