অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে ইসরাইলকে বর্ণবাদী বলায় ক্ষুদ্ধ মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে ইসরাইলকে বর্ণবাদী বলায় ক্ষুদ্ধ মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে ইসরাইলকে বর্ণবাদী বলায় ক্ষুদ্ধ মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে ইসরাইলকে বর্ণবাদী বলে আখ্যায়িত করায় অনেক মার্কিন জনপ্রতিনিধি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। শনিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নিপীড়নকে বর্ণবাদী অপরাধ বলে অভিহিত করা হয়েছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলের অধিবেশনে অ্যামনেস্টির এ প্রতিবেদনের চরম সমালোচনা করেন মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা। দু’প্রধান দলের (রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট) অসংখ্য মার্কিন জনপ্রতিনিধিরাই এ সমালোচনায় অংশ নিয়েছেন। এসব মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আছেন নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের সদস্যরা। তারা অ্যামনেস্টির যে প্রতিবেদনে ইসরাইলকে বর্ণবাদী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে তাকে প্রত্যাখ্যান করেন।

তাদের অভিযোগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এ প্রতিবেদন হলো ইহুদিবিদ্বেষী।

কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন এমন কঠোর সমালোচনার পরেও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওই প্রতিবেদন মিথ্যা হয়ে যাবে না। তাদের এমন সমালোচনার পরেও মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনের বৈধতা নষ্ট হবে না। তবে মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের এমন সমালোচনায় ইসরাইল আনন্দ পেতে পারে। যদিও ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউটের সভাপতি জেমস জোগবি বলেন, তারা ইসরাইলের সমালোচনা বা বর্ণবাদী আচরণকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চায়। কিন্তু, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নিপীড়ন যে বর্ণবাদী অপরাধ এমন ধারণা এখন সত্য বলে প্রমানিত। এ কারণে ইসরাইলের সমর্থক মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা পরাজিত হয়েছেন।

জেমস জোগবি আরো বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপের কারণে মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা অ্যামনেস্টির সমালোচনা করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু, এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গ্রহণযোগ্যতা বা সংস্থাটির প্রতিবেদনের বৈধতা নষ্ট হয়নি।

সূত্র : আল-জাজিরা