কুবিতে ১৬ বছরেও হয়নি কমনরুম, নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

কুবিতে ১৬ বছরেও হয়নি কমনরুম, নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

কুবিতে ১৬ বছরেও হয়নি কমনরুম, নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পার করলেও ছাত্রীদের ব্যক্তিগত অবস্থানের জন্য হয়নি কোন কমনরুম। এমনকি নামাজ আদায়ের জন্য কোন স্থান দিতে পারে নি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। যার ফলে নানারকম ভোগান্তিতে এবং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে ছাত্রীদের।

ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের অনেক সহপাঠী মাঝে মাঝে নানা জটিলতায় ভোগে আবার অনেকেই সন্তান সম্ভ্যবা যার জন্য তাদের ব্যক্তিগত স্পেস বা রুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনুষদ গুলোতে নামাজের জন্য আলাদা কোন কক্ষ নেই। দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আসে যারা নামায পড়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাই না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ এবং প্রকৌশল অনুষদের কোনটিতেই নেই কমনরুম। শুধুমাত্র বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে ছাত্রীদের নামাজের ছোট্ট একটি কক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লোক প্রশাসন ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সিমন আরা আক্তার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট কোন কমন রুম নেই এবং নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন কক্ষ নেই।পাশাপাশি অনেকের নানান রকমের সমস্যা থাকে।

 নামাজের জায়গা বা কমন রুম থাকলে তারা সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি সারতে পারেন। এমনকি যাদের সাথে ছোট শিশু থাকে তাদের ব্রেস্ট ফিডিং এ নানান বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয়। এমতাবস্থায় কমন রুম এবং নামাজ জায়গার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি।

ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্নভাবে ছাত্রীরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি ছাত্রীদের কমনরুমের ব্যবস্থা করার জন্য উপাচার্যের সাথে কথা বলবো। এবং আমার নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আবদুল মঈন বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় বিষয়টি জানি না। আমাদের রুম এবং সম্পদ দুটোরই স্বল্পতা রয়েছে। তবুও আমি বিষয়টি অতিদ্রুত সমাধান করে ছাত্রীদের কমনরুমের ব্যবস্থা করবো।