গাঁজা নিয়ে ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়র পাল্টাপাল্টি মারধর

গাঁজা নিয়ে ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়র পাল্টাপাল্টি মারধর

ফাইল ছবি

ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গাঁজা সেবনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে এবং মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসের আমতলায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ৩০৮ নম্বর কক্ষে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে যান জিয়াউর রহমান নামের ইইই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। এসময় ওই কক্ষে অবস্থানরত ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিষ নামের এক শিক্ষার্থী কক্ষের আরেক সিনিয়রকে ফোন দিয়ে আড্ডারতদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ করেন। ওই সিনিয়র জিয়াকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়া মাদক সেবনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। এসময় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করে আশিষের কাছে এর কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে জিয়া আশিষকে মারধর করেন বলে অভিযোগ আশিষের।

আশিষ বলেন, ‘আমি কক্ষে তাদেরকে গাজাসহ দেখেছি। বিষয়টি আমার কাছে ভালো না লাগায় কক্ষের আরেক সিনিয়রকে বিষয়টি জানাই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন।’ তবে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা ওই কক্ষে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় সিগারেট খেয়েছিলাম কিন্তু গাঁজা সেবন বা এ জাতীয় কিছু করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এজন্য কিছুটা রাগারাগি হয়েছে এবং ধাক্কাধাক্কি হয়।’

এ দিকে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আশিষের বন্ধু হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিক, সাইমন ও নাঈমসহ বেশ কয়েকজন ক্যাম্পাসের আমতলায় জিয়াউর রহমানকে অতর্কিতভাবে মারধর করেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি সকালে আমতলায় চা খাচ্ছিলাম। আশিষের কয়েকজন বন্ধু এসে অতর্কিতভাবে আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করে ও লাঞ্চিত করেছে।’

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আশিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল রাতে তারা রুমে এসে আমার বন্ধুকে মারধর করে গেছে। আমরা তখন কি করব? বন্ধুরা তো বন্ধুদের পিছনে যাবেই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ  পাইনি।’