পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তীয় দিনেও রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে তালা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তীয় দিনেও রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে তালা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তীয় দিনেও রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে তালা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদ দুর্নীতির তদন্ত, অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও কর্মচারী নিয়োগসহ ১৭ দফা দাবিতে সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো  রেজিস্টারের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে রাখে। এর ফলে সোমবারেও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম তার কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি।

ক্যাম্পাসের তথ্য অনুযায়ী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী নির্ধারিত রিজেন্ট বোর্ড ব্যতিরেখেই ১০২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদোন্নতি বাদ দিয়ে মেয়াদ শেষকালে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে শনিবার  থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্ষুব্ধ হয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে তালা ঝুলিয়ে  দেয়।এ ছাড়া ১৭টি দাবি এর সাথে জুড়ে দিয়েছে পরিষদ। এ সব দাবি না মানা পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফিসে তালাবদ্ধ থাকবে বলে জানান পরিষদ নেতারা।

অন্যান্য দাবিগুলো হলো-করোনাকালীন সময়ে অর্ধেক জনবল নিয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত অফিস, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কর্মকর্তাদের উচ্চতর স্কেল প্রদান, অটো পদোন্নতি ও শূন্যপদে বিভাগীয় প্রার্থীদের পদোন্নতি প্রদান, নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত— সকল উচ্চতর পদের কর্মকর্তাদের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত, আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা সংশোধন করতে হবে, ৪ শতাংশ হারে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত এবং অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে নবনিযুক্ত যোগাদানকৃত দুইজনের আপগ্রেডেশনের শর্ত বিলুপ্ত করতে হবে।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েমনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, "আমরা ১৭ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি নিয়ে কেও আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। তাই তালা খোলা হয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত অফিস তালাবদ্ধ থাকবে।

 যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, "বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি। তিনি সমাধানের নির্দেশ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।'এ ব্যাপারে ভিসির সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।উল্লেখ্য, আগামী ৬ মার্চ উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।