ভিসি শুন্য পাবিপ্রবিতে নবমদিনেও রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে তালা

ভিসি শুন্য পাবিপ্রবিতে নবমদিনেও রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে তালা

ভিসি শুন্য পাবিপ্রবিতে নবমদিনেও রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে তালা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে নবমদিনেও তালা ঝুলে। এদিকে সদ্য মেয়াদপূর্ণ ভিসি অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে সব ধরণের দুর্ণীতির তদন্তের দাবিতে বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে ঝাড়ু মিছিল করে। মিছিলকারীরা ভিসির বিরুদ্ধে অ¯্রাব্য ভাষায় বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেয়।

এদিকে তালাবদ্ধ থাকায় এদিনেও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রক্ষ্ম তার দফতরে বসতে পারেননি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কক্ষে বসেই দিন কাটাতে হচ্ছে।

সব মিলে ভিসি শুন্যতা, রেজিস্ট্রারের দফতর তালাদ্ধ ও দীর্ঘদিন ট্রেজারার ও প্রো-ভিসির পদ শুন্যতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও শিক্ষার্থীরা  ভিসির দুর্নীতির তদন্ত, অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও কর্মচারী নিয়োগসহ ১৭ দফা দাবিসহ ১০১ টি দুর্ণীতির প্রতিবাদ ও তদন্তের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েমনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, "আমরা ১৭ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি নিয়ে কেও আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। তাই তালা খোলা হয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত অফিস তালাবদ্ধ থাকবে।

যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, "বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি সমাধানের  কোন নির্দেশ দেননি।’

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলনের মুখে ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ থেকে অর্থাৎ ২৩দিন যাবৎ ভিসি শূন্য, নয়দিন রেজিস্ট্রারের দফতর তালাবদ্ধ এবং অনেক আগেই প্রো-ভিসি ও ট্রেজারের পদ শূন্য অবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে।  তাই এক রকম বিশ্ববিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন পড়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী নির্ধারিত রিজেন্ট বোর্ড ব্যতিরেখেই ১০২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদোন্নতি বাদ দিয়ে মেয়াদ শেষকালে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন ১০ ফেব্রুয়ারি। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন রেজিস্ট্রার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ১৭ টি দাবি পূরণ না হওয়া চলমান আন্দোলনে অনড় রয়েছে  অ্যাসোসিয়েশন। 

রোববার (০৬ মার্চ ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ নিয়োগ নিয়োগ পান ভিসি। নিয়োগের পর থেকেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে শতাধিক অনিয়ম, দুর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি, অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠে। মেয়াদ শেষের দিকে তিনি সেকশন অফিসার পদে নিজের আপন ভাতিজি কানিজ ফাতেমা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওলিউল্লাহসহ ১০২টি পদে নানা অনিয়মে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠে। বিদায়ের আগে নিয়োগপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত করতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন।

১০ ফেব্রুয়ারি রিজেন্ট বোর্ডের সভাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। দিনব্যাপী চরম উত্তেজনার পর রিজেন্ট বোর্ডের সভা স্থগিত করে ভিসি ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। 

ইতোপূর্বে পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে ১০১টি দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দাবি করে বিভিন্ন আন্দোলন করেন শিক্ষক কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি ও তদন্ত কমিটি।

যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, "ভিসি নাই। কাকে জানাবো?’ তবে সরকারের গোয়েন্দা বিভাগসহ হাই প্রশাসনের সব কিছুই নক্ষদর্পণে আছে।”