ঈমানের প্রশ্নে অনুমানের সুযোগ নেই

ঈমানের প্রশ্নে অনুমানের সুযোগ নেই

প্রতীকি ছবি

ইসলামী শরিয়ত ঈমান ও ইসলাম সংক্রান্ত বিষয়ে কোরআন, হাদিস ও সর্বযুগের মুজতাহিদ আলেমদের বক্তব্য গ্রহণ করতে বলেছে। আর যারা যথাযথ জ্ঞান না রেখেও ঈমান ও ইসলাম সম্পর্কে নানা ধরনের মন্তব্য করে তাদের বক্তব্য পরিহার করার নির্দেশ দিয়েছে। কেননা যথার্থ জ্ঞান ছাড়া ঈমান ও ইসলামের ব্যাপারে অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপের নামান্তর। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে এবং সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে তার চেয়ে বেশি অবিচারকারী কে আছে? অবিশ্বাসীদের আবাসস্থল কি জাহান্নাম নয়?’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৩২)

আর কেউ যদি কোরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না রেখেও আত্মমুগ্ধতার শিকার হয় এবং যোগ্য আলেমদের বক্তব্য পরিহার করে, তাদের প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করে, সেটা আরো বেশি নিন্দনীয়।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের মধ্যে এমন কতক নিরক্ষর লোক আছে, যাদের মিথ্যা আশা ছাড়া কিতাব সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই। তারা শুধু অমূলক ধারণা পোষণ করে। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ৭৮)

আর যারা নিজের অনুমানের ওপর ভিত্তি করে শরিয়তের সুস্পষ্ট বিষয় অস্বীকার করে এবং সত্যপন্থী আলেমদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয় তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহর ঘোষণা হলো, ‘যখন তাদের কাছে কোনো নিদর্শন আসে, তারা তখন বলে, আল্লাহর রাসুলদের যা দেওয়া হয়েছিল তা আমাদের না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কখনো বিশ্বাস করব না। আল্লাহ তাঁর রিসালাতের ভার কার ওপর অর্পণ করবেন, তা তিনিই ভালো জানেন। যারা অপরাধ করেছে, চক্রান্তের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তি তাদের ওপর আপতিত হবেই। ’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১২৪)

মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো তারা অনুমান, নিজের ধ্যান-ধারণার ওপর নির্ভর না করে যা সত্য বলে প্রমাণিত তা নিঃশর্তভাবে মেনে নেয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সত্য এনেছে এবং যারা সত্যকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে তারাই তো আল্লাহভীরু। ’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৩৩)

​মুফতি আতাউর রহমান