গরমে নবজাতকের গায়ে র্যাশ রোধে করণীয়
ফাইল ছবি
গরমে নবজাতকের শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। এ সংক্রমণ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে গরমে নবজাতকের মাথায়, গালে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে র্যাশ হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা এই র্যাশকে ঘামাচি ভেবে ভুল করে থাকেন।
র্যাশ নবজাতকের জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ঘাবড়ে না গিয়ে শিশু আরামের জন্য জেনে নিন ঘরোয়া কয়েকটি উপায়—
সুতির পোশাক পরান
নবজাতককে সুতির হালকা পোশাক পরান। এই গরমে সুতির বদলে অন্য কোনো পোশাক পরালে শিশুর জন্য সেটি বেশ অস্বস্তিদায়ক। সেইসঙ্গে বাড়বে র্যাশের প্রবণতা। এছাড়াও শিশুকে দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। এতে তার কুঁচকি-সহ সংলগ্ন অংশে হিট র্যাশ বাড়বে।
গরম পোশাক পরাবেন না
এখন শীতকাল নয়। তাই একটু মেঘ করলে, বৃষ্টি হলে কিংবা সন্ধ্যা হলে শিশুকে গরম পোশাক পরিয়ে দেবেন না। এই অভ্যাসেও হিট র্যাশ হতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে ঘাম শুকালে এবং নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখলে হিট র্যাশের ভয় অনেকটাই কমে।
পাউডার মাখাবেন না
অনেক সময় শিশুর শরীরের বিভিন্ন ভাঁজ গলা, কুঁচকি, বাহুমূল ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে হিট র্যাশ হয়। নবজাতককে পাউডার মাখাবেন না। পাউডার ব্যবহারে ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ হয়ে ত্বকে লাল র্যাশ হতে পারে। অভিভাবকেরা তখন হিট র্যাশকে ঘামাচি ভেবে আরও পাউডার ব্যবহার করেন। এতে শিশুর কষ্ট কমে যাওয়ার বদলে বেড়ে যায়।
প্রখর রোদে শিশুকে বের করবেন না
গরমে রোদের তীব্রতা থাকে বেশি। তাই প্রখর রোদে শিশুকে বের না করাই ভালো। বিশেষ করে, সকাল দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া শিশুকে বাইরে বের করবেন না।
সারাক্ষণ ঢেকে রাখবেন না
নবজাতক বেশিরভাগ সময়েই শুয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের ন্যাপি র্যাশ ও হিট র্যাশের সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। তাই অপ্রয়োজনে তাদের চাদর বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন না।
তরল ও পানি
নবজাতক খাবার পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অর্থাৎ মা যা খান, বুকের দুধের মাধ্যমে শিশু সেখান থেকেই পুষ্টি সংগ্রহ করে। গরমে শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে তার ত্বকের পিএইচ (প্রোটেনশিয়ল হাইড্রোজেন) ব্যালান্স স্বাভাবিক রাখতে হবে। সেজন্য মাকে খেতে হবে পর্যাপ্ত পানি ও তরল জাতীয় খাবার।
