করোনার নতুন বিস্তার : সাংহাইয়ে রেকর্ড মৃত্যু, আতঙ্কে বেইজিং

করোনার নতুন বিস্তার : সাংহাইয়ে রেকর্ড মৃত্যু, আতঙ্কে বেইজিং

ছবি: সংগৃহীত

চীনে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঢেউ। সোমবার সাংহাইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে রেকর্ড ৫১ জন মারা গেছেন। বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় এলাকা চাওইয়াংয়ে ৩৫ লাখ অধিবাসীকে গণহারে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চলমান অবস্থায় চীনে আবার কঠোর লকডাউন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর লকডাউন আতঙ্কে মানুষজন বিভিন্ন শপিংমলে ভিড় করছেন। লোকজন জিনিসপত্র কিনতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন দোকানপাটে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

সাংহাইয়ে কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। টানা চতুর্থ সপ্তাহ কঠোর লকডাউনে রয়েছে শহরটি।

সোমবার কোভিডে সেখানে মারা গেছেন কমপক্ষে ৫১ জন। শহরটিতে বাড়িঘরে যেসব মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে আছেন, তাদেরকে খাদ্য সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাংহাই কর্তৃপক্ষ। যারা কোভিডে আক্রান্ত হননি, তারা চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা রকম বিভ্রাটে পড়ছেন। যেভাবে সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগের মতো লকডাউনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বেইজিংয়ের ডাউনটাউনের সবচেয়ে বড় এলাকা চাওইয়াংয়ে বসবাস করেন প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ। সোমবার থেকে গণহারে তাদের ও সেখানে কাজের জন্য আশপাশ থেকে যাওয়া লোকজনের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই এলাকাটিতে আছে বহু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ও দূতাবাস।

কঠোর লকডাউন আতঙ্কে সোমবার লোকজনকে শপিংমলগুলোতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। সেই লাইন শপিংমলের বাইরে রাস্তায়ও ছড়িয়ে পড়ে। তারা অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী কিনে নিতে চেষ্টা করছেন। লোকজনকে দেখা যায় খাদ্যভর্তি শপিং কার্ট ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন। ডেলিভারি অ্যাপসের মাধ্যমে মুদি দোকানের অনেক পণ্য বিক্রি হয়ে গেছে।

রাজধানী বেইজিংয়ের অনেক ফিটনেস স্টুডিও ও জিমনেসিয়াম ইতোমধ্যে তাদের ক্লাস বাতিল অথবা বন্ধ করে দিয়েছে। শহরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে বেইজিং। বিধি অনুসারে বেইজিংয়ে প্রবেশ করতে হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ দেখাতে বলা হবে। এলাকাটিতে একজনের শরীরেও এ ভাইরাস গেলে পুরো এলাকা আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেইজিংয়ের চলমান এ অবস্থা জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মী ইয়াও লেইমিং (২৫)।