জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন

জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন

জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন

লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন এবং আরো একজনের চার বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নুরুল আমীন বিপ্লব এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু এ কথা জানান।যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন ফয়জুল হাসান। আর চার বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন তার বন্ধু সোহাগ মিয়া।খালাস পেয়েছেন ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলার ৬২ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে গত ১০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। এরপর গত ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন। যুক্তিতর্কের শেষ তারিখে বাকি পাঁচ আসামির জামিন স্থগিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সব আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

 

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডসংলগ্ন মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে বসা অধ্যাপক জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুল হাসান। তখনই তাকে আটক করেন উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা। তারপর তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে গুরুতর আহত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরদিন শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন সিলেটের জালালাবাদ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ওই বছর ৬ মে ফয়জুলকে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।

অভিযোগপত্রের পর ওই বছর ৪ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করেন আদালত। পরে ২০২০ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে মামলাটি এ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।