পাঞ্জাবকে ১৭ রানে হারিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে দিল্লি

পাঞ্জাবকে ১৭ রানে হারিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে দিল্লি

ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা আইপিএলে দাপট দেখালেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা। শার্দুল ঠাকুর, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদবদের সামনে দাঁড়াতে পারল না পাঞ্জাব কিংসের টপ অর্ডার। শেষ দিকের ব্যাটাররা চেষ্টা করেও পারলেন না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ময়ঙ্ক অগ্রবালদের ১৭ রানে হারিয়ে প্লে-অফের দিকে আরো খানিকটা এগিয়ে গেল দিল্লি। ঋষভ পন্থদের পয়েন্ট ১৪। বাকি আরো একটি ম্যাচ। ফলে আরো খানিকটা চাপ বাড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের উপর। শ্রেয়স আয়ারদের প্লে-অফে ওঠার অঙ্ক আরো কিছুটা কঠিন হয়ে দাঁড়াল।

টসে জিতে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান ময়ঙ্ক। প্রথম বলেই শূন্য রানের মাথায় ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করে বড় ধাক্কা দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। কিন্তু তার পরে পাল্টাআক্রমণ শুরু করেন সরফরাজ খান ও মিচেল মার্শ। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তারা। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল সরফরাজকে। মাত্র ১৬ বলে ৩২ রান করে আউট হন তিনি।

মার্শ আগের ম্যাচের ছন্দে খেললেও অন্য প্রান্তে থাকা ললিত যাদব একটু ধীরে খেলছিলেন। ফলে রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায়। বাকি ব্যাটাররা কেউ বড় রান পাননি। কিন্তু অর্ধশতরান করেন মার্শ। ৬৩ রান করে আউট হন তিনি। ২০ ওভারে ১৫৯ রান করে দিল্লি। পাঞ্জাবের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন লিভিংস্টোন ও অর্শদীপ সিংহ।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার শিখর ধবন ও জনি বেয়ারস্টো। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান করছিলেন তারা। ২৮ রানের মাথায় বেয়ারস্টোকে আউট করে পাঞ্জাবকে প্রথম ধাক্কা দেন আনরিখ নোকিয়া। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে পাঞ্জাবকে জোড়া ধাক্কা দেন শার্দুল। ভানুকা রাজাপক্ষ ও শিখরকে আউট করেন তিনি।

দিল্লির দুই স্পিনার অক্ষর ও কুলদীপ বলে আসতেই চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব। পর পর আউট হন অধিনায়ক ময়ঙ্ক ও লিভিংস্টোন। মাত্র ৬৭ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় পাঞ্জাবের। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পাঞ্জাব। অনেক চেষ্টা করেন জীতেশ শর্মা ও রাহুল চাহার। কিন্তু জয় আসেনি। শেষ পর্যন্ত ১৪২ রানে শেষ হয় পাঞ্জাবের ইনিংস। চার উইকেট নেন শার্দুল।

এই জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম চারে ঢুকে পড়ল দিল্লি। তাদের শেষ ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে হারের ফলে ১২ পয়েন্টেই থাকল পাঞ্জাব। তাদের শেষ ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা