তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন

তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন

ছবি: সংগৃহীত

ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবায়দা রহমানের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৫ জুন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। তারেক-জোবায়দা বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও ওইদিন শুনানি হবে।

রোববার (২৯ মে) তাদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে ওয়ান ইলেভেনের সময় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা আবেদনের শুনানির জন্যও সময় নিয়েছেন আসামিপক্ষ।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ মামলায় সময় পিছিয়ে ৫ জুন দিন ধার্য করেন।

আদালতে তারেক-জোবায়দার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এদিন শামীম ইস্কান্দারের পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

তারেক-জোবায়দা

জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা: জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবালমান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো গত ২০ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

আদালতে তারেক রহমান ও জোবায়দার পক্ষে তাদের আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেয়ায় দুদকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তখন আদালত বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন কি না, ৫ জুন এ বিষয়েও শুনানি হবে।

এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা: জোবায়দা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসাথে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যা গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী

সম্পদের তথ্য চেয়ে ২০০৭ সালে শামীম ইস্কান্দারকে নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশের পর সম্পদের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২০০৮ সালে রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নেন শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী।

২০১৬ সালে এ মামলা বাতিল চেয়ে করা শামীম ইস্কান্দারের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর আবারো মামলা বাতিল চেয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল শুনানির দিন পিছিয়ে আজ ২৯ মে নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ওঠে। পরে এদিন শামীম ইস্কান্দারের পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। এতে শুনানির দিন পিছিয়ে ৫ জুন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

সূত্র : ইউএনবি