বিসিএস পরীক্ষার ফল জানা হলোনা, হার্ট অ্যাটাকে না ফেরার দেশে রাফিন

বিসিএস পরীক্ষার ফল জানা হলোনা, হার্ট অ্যাটাকে না ফেরার দেশে রাফিন

মীর মো. রাফিন

ইবি প্রতিনিধি :বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মীর মো. রাফিন। কিন্তু ফল জানা হলোনা তার। এর আগেই নিভে গেল জীবন প্রদীপ। শুক্রবার (৩ জুন) সকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। 

রাফিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও রাজবাড়ী সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মীর আলমগীরের ছেলে। নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, রাফিন বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বাড়ি এসে ডাক্তারও দেখিয়েছেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পরীক্ষা করালেও রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই আজ শুক্রবার সকালে হঠাৎই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হলে মায়ের কোলে ঢলে পড়েন রাফিন। পরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বিকেলে আসর নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

সহপাঠীরা ও বিভাগীয় শিক্ষকরা জানান, রাফিন খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। আগামী ১৯ জুন থেকে তার স্নাতকোত্তর প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষাতে অংশ নেন তিনি।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া পৃথক বার্তায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া শোক প্রকাশ করেন।

লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন,  এ বছরই রাফিনের স্নাতোকোত্তর শেষ হয়ে যেত। আগামী ১৯ জুন থেকে ব্যাচটির পরীক্ষাও শুরু হবে। তার মৃত্যুতে লোক প্রসাশন বিভাগ গভীরভাবে শোকাহত। তার আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) বাস চাপায় খালিদ বিন কুদ্দুস নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।  তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার পোড়াঘাটি গ্রামে। মিরপুর বহলবাড়ীয়া সেন্টার নামক স্থানে বাসে উঠার সময় বাসের নিচে চাপা পড়েন। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।