দুর্ভোগ কমাতে রাতে বাস বাড়ানোর দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

দুর্ভোগ কমাতে রাতে বাস বাড়ানোর দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

দুর্ভোগ কমাতে রাতে বাস বাড়ানোর দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

বাস সংকটের জন্য তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের। এই চিত্র বেশি দেখা যায়, সন্ধ্যা ৭টায় ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী বাস, সাড়ে ৭ টায় ও রাত সাড়ে ৮ টায় শহর থেকে ক্যাম্পাসমুখী বাস গুলোতে। সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৭ টায় ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী, সাড়ে সাতটা ও রাত সাড়ে আটটার সময় শহর থেকে ক্যাম্পাসমুখী বাসের সংখ্যা ১টি করে হওয়ায় বাসের মধ্যে প্রচণ্ড ভীড় থাকে।

 এতে অসহনীয় ভীড়ে ছাত্রীদের অস্বস্তিকর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও জায়গা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা বাসের দরজায় ঝুলে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাসহ অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বাস বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি এবং সরাসরি প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।

 তবে অতিরিক্ত বাস থাকা সত্বেও নানা অজুহাতে প্রশাসন সেই দাবি বাস্তবায়ন করেনি। পরিবহন পুল সুত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে ৮টি নীল বাস থাকলেও সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরমুখী ১টি, সাড়ে ৭ টায় শহর থেকে ক্যাম্পাসমুখী ১টি, রাত ৮ টায় ২টি, এবং সাড়ে ৮ টায় ১টিসহ মোট ৫ টি বাস চলাচল করে। অর্থাৎ বাসের সংখ্যা বেশি থাকলেও ড্রাইভার এবং স্টাফ সংকটে অকেজো হয়ে আছে আরো তিনটি বাস।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে থাকলেও প্রশাসন সেটি আমলে নিচ্ছে না। আবার বাস অকেজো পড়ে থাকায় সেটি যত্নের অভাবে কয়েকদিন পরে অকেজো হয়ে পড়বে। ফলে একদিকে যেমন দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা অন্যদিকে চোখের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রাজিব বলেন, রাতে শহর থেকে ক্যাম্পাসমুখী বাস গুলোতে প্রচুর ভীড় থাকে। তিল ধারণের ঠাঁই থাকেনা বললেই চলে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং সাড়ে ৮টায় ভিড়ের মাত্রা সীমাহীন। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, কাউকে রেখেও আসা যায় না।

মেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরো করুণ। ছাত্রীরা রাতের বাসে সবচেয়ে বেশি অসহনীয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। পরিবহন পুল কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, ড্রাইভার ও স্টাফ সংকট থাকায় তিনটি বাস চলাচল করতে পারছে না। উর্ধ্বতন কর্মকতার সাথে আলোচনা করে বাস বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, পরিবহন পুলের কর্মকর্তার সাথে এবিষয়ে আলোচনা করে কোন জায়গায় গড়মিল আছে তা খোঁজ নিব। এবং উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে ঈদের পরে বাস বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব।