সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত

সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত

সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত

গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও বগুড়ায় শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।কুমিল্লায় শনিবার সকালে ব্যস্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেকিনগর গ্রামে বাসের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন বেকিনগরের আব্দুল হকের ছেলে রাসেল (৩০) ও শরিফুল ইসলাম (৩০) এবং শাহজালালের ছেলে তাশফি আহমেদ (১৮)।

কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল জানান, সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাসটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাজেন্দ্রপুর-টোক সড়কে শনিবার ভোররাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন।তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।চেওরাইট ইলুর মোড়ে কিশোরগঞ্জগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে বাসটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হন।

আহতদের মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুইজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।অন্যদিকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার নাল্লা বাজারে শুক্রবার রাতে বাসের ধাক্কায় দুই ভাইবোনসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২) ও মৃদুল (১৫), বজলু মিয়ার ছেলে হাসান (১৯) ও ভ্যানচালক বাবুল কর্মকার (৫০)।ধনবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আশিকুজ্জামান জানান, জামালপুর থেকে ঢাকাগামী বাসটি তিন চাকার ভ্যানে ধাক্কা দিলে ভ্যান চালক ও আরোহী সাইফুল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর দু’জন আহত হন।

আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্য একজনের মৃত্যু হয়।

বগুড়ায় শুক্রবার রাতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় ১৯ বছর বয়সী এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন।নিহত সাকিব হাসান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বগুড়ার (আইআইটিবি) ছাত্র এবং রফিকুল ইসলামের ছেলে।

শাহজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া থেকে ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি সাকিবের বাইককে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোঃ একেএম বানিউল আলম বলেন, ‘নিহত সাকিব মোটরসাইকেলটির আরোহী ছিলেন আর তার বন্ধু সানি আহমেদ পিলিয়ন এটি চালাচ্ছিলেন। ধাক্কায় দু’জনেই বাইক থেকে পড়ে যান। কিন্তু সাকিব ওঠার আগেই তাকে যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়।’তিনি আরো বলেন, আমরা বাসটি জব্দ করেছি এবং লাশ স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।