ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আযহা: শান্তিময় বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়

ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আযহা: শান্তিময় বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়

ছবি: সংগৃহীত

কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। বান্দাহ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। আমরা জানি যে, ‘কুরবান’ শব্দটি ‘কুরবুন’ শব্দ থেকে উৎকলিত। অর্থাৎ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে কুরবানী, তাই যে ইবাদাতের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে তার নাম ‘ঈদুল আযহা’ বা ‘কুরবানীর ঈদ’। আরবি শব্দ ‘আয্হা’ অর্থ কুরবানীর পশু। যেহেতু এই দিনে কুরবানীর পশু যবাই করা হয়, তাই একে ঈদুল আযহা বলা হয়।
কুরবানির ইতিহাস বেশ পুরনো। সেই আদম আ. এর সময় থেকেই কুরবানি আজ অবধি চলে আসছে নানাভাবে। নানা আঙ্গিকে। নবী রাসূলদের যমানার সাথে সাথে কুরবানির ধরণ পাল্টেছে। তবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি কখনও। বরাবরই কুরবানীর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো রাব্বুল আলামীনের একচ্ছত্র আনুগত্যকে প্রমান করার। আজও কুরবানির উদ্দেশ্য তাই।
মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আ. এর প্রতি নির্দেশ এসেছিল, তাঁর প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করার। নির্দিষ্ট কোন পশু কিংবা বস্তুকে লক্ষ্য করে বলা হয়নি। তিনি চিন্তা করে পেলেন বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া তাঁর পুত্র ইসমাঈলই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। 
সন্তানের জন্য আল্লাহর দরবারে রাত দিন কতো দোয়া তিনি করেছেন। আন্মনে কতো স্বপ্ন তিনি বুনেছেন সন্তানকে ঘিরে। তাঁরপর জীবন সায়াহ্নে আল্লাহর দেয়া এই নেয়ামত তিনি পেলেন। খুশির কল্লোলে তিনি হাবুডুবু খেলেন। রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়ার কতো সিজদা তিনি করেছেন! কতো দোয়া তিনি করেছেন রবের দরবারে। সেসব দোয়া এতটাই প্রাণবন্ত ছিলো যে, সেগুলো পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ অনুকরণীয় করে রেখেছেন। 
বৃদ্ধ বয়সে ইবরাহীম আ. এর স্ত্রীর সন্তান যখন দুনিয়ায় পদার্পণ করবেন, এমন সময় আল্লাহ নির্দেশ দিলেন তাঁদেরকে মক্কায় রেখে আসতে। জনমানবহীন বিরাণ ভুমিতে তাঁদেরকে রেখে চলে যাচ্ছিলেন ইবরাহীম আ.। মা হাজেরা আ. শুধু জিজ্ঞেস করলেনÑ আমাদেরকে এই মানবশুন্য এলাকায় একা রেখে চলে যাচ্ছেন? 
ইবরাহীম আ. উত্তরে বললেনÑ এটাই আমাদের রবের নির্দেশ। মা হাজেরা আ. উত্তর শুনে সামান্য আপত্তিও করলেন না। তিনি আল্লাহর নির্দেশের কাছে নিজেকে সপে দিলেন। অথচ তিনি সন্তান জন্ম দেবেন। দূর দিগন্ত পর্যন্ত মানুষের কোন আকার নেই। দু’পাশে দু’টি পাহাড়। সাফা ও মারওয়া। তিনি ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিলেন। সন্তানতো নয়, যেনো জান্নাতী নূরের এক জীবন্ত প্রতীক। নবীর সন্তান আরেক ভবিষ্যত নবী ইসমাঈল আ.।  
দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমির কোথাও পানি নেই, আগুন নেই। নিত্য প্রয়োজনের সমস্তই এখানে অনুপস্থিত। মা হাজেরা দিশেহারা হয়ে ছুটোছুটি করতে লাগলেন। পানি পাওয়া যায় কি না! না, কোথাও কিছু নেই। তিনি আল্লাহর সাহায্য চাইতে লাগলেন। এক বার সাফা আরেক বার মারওয়া পাহাড়ে ব্যকূলভাবে দৌঁড়াতে লাগলেন। এদিকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শিশু ইসমাঈলের পায়ের কাছেই প্রবাহিত করে দিলেন মিষ্টি পানির এক ঝর্ণাধারা। জমজম নামে আজও যেটি প্রবাহমান।   
আদরের এই ধন, আল্লাহর একান্ত দান ইসমাঈল আ. যখন কৈশোর ছুঁই ছুঁই করছেন। বাবার হাত ধরে এদিক সেদিক যেতে পারেন। নানা কাজে কিছুটা সাহায্য করতে পারেন। এমন সময়ই দুনিয়ার তাবৎ বাবারা ছেলের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। ঠিক এই সময়টাতেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় বন্ধুর চরম পরীক্ষাটা নিতে চাইলেন। 
তিনি ইবরাহীম আ. কে স্বপ্নে দেখালেন তাঁর প্রিয় জিনিসকে আল্লাহর নামে কুরবানী করতে। ইবরাহীম আ. অনেক ভেবে চিন্তে দেখলেন, তাঁর কাছে তার পুত্রের চেয়ে দুনিয়ায় বেশি প্রিয় আর কিছু নেই। তিনি পাশ কাটালেন না। জীব জন্তু, টাকা-পয়সা, অর্থ-সম্পদ আরও অনেক কিছুকে তিনি প্রিয় ভাবতে পারতেন। না, তিনি জানেন- আমার কাছে কোন্টা সবচেয়ে বেশি প্রিয় তা আমার চেয়ে আল্লাহ ভালো জানেন।
ইবরাহীম আ. কোন কপটতার আশ্রয় নিলেন না। তিনি মা হাজেরা আ. এর কাছে ঘটনা খুলে বললেন। মা হাজেরা আল্লাহর অনুগত বাঁদীর দৃষ্টান্ত স্থাপনর করলেন। নিজ হাতে ছেলেকে সাজিয়ে দিলেন আল্লাহর নামে জবাই হবার জন্য। ছেলেও ওই বয়সেই আল্লাহর এবং বাবা মার কতোটা অনুগত! তিনিও কোন উচ্চবাচ্য না করে বরং ইবরাহীম আ.কে অভয় দিলেনÑ ‘বাবা! আপনি রবের নির্দেশ পালন করুন অকুন্ঠ চিত্তে, আমাকে সম্পূর্ণ অনুগত পাবেন।’
আল্লাহর আনুগত্যের কী পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে দিলেন এই পরিবার! মা হাজেরা আ. জনমানবহীন মরু প্রান্তরে গর্ভবতী হয়েও স্বামীকে দ্বিধাহীনভাবে ছেড়ে দিলেন আল্লাহর নির্দেশ পালনে। ছেলেকে বাড়ন্ত বয়সেই কুরবানীর জন্য সাজিয়ে দিতেও মা কুণ্ঠিত হলেন না। ছেলেও আল্লাহর নির্দেশের কথা জেনে নিজেকে স্বতস্ফুর্ত সপে দিলেন আল্লাহর জন্য। 
আর বাবা! এই বৃদ্ধ বয়সে একটি ছেলে পেয়ে কী অভিভূত হয়েছিলেন! সেই ছেলের গলায়ই ছুরি চালাতে চলেছেন আপন রবের নির্দেশে! এ ঘটনা কমবেশি সবারই জানা। নিজের মালিক, নিজের রব, সমস্ত কিছুর যোগান যিনি দেন, তাঁর প্রতি কেমন অনুগত থাকতে হবে তার জীবন্ত নমুনা এই পরিবার।
ইবরাহীম আ. এর পরিবারের  আনুগত্যকে দুনিয়াবাসীর জন্য দৃষ্টান্ত। সেই দৃষ্টান্তগুলোকে চিরজাগরুক রাখার জন্যই ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ হজের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই পরিবারের কর্মস্মৃতিকে বিধিবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হজরত ইব্রাহিম আ. এর আনুগত্য ও রবের জন্য দ্বিধাহীন ত্যাগের কর্মকান্ডগুলো আল্লাহ এতই পছন্দ করেছেন যে, পবিত্র কুরআনের ২৫টি সুরার ২০৪ টি আয়াতে সেসব বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে।
সূরা আস-সাফ্ফাতের ১০০ থেকে ১০৯ আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনÑ
رَبِّ هَبۡ لِي مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ ١٠٠ فَبَشَّرۡنَٰهُ بِغُلَٰمٍ حَلِيمٖ ١٠١ فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ ٱلسَّعۡيَ قَالَ يَٰبُنَيَّ إِنِّيٓ أَرَىٰ فِي ٱلۡمَنَامِ أَنِّيٓ أَذۡبَحُكَ فَٱنظُرۡ مَاذَا تَرَىٰۚ قَالَ يَٰٓأَبَتِ ٱفۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُۖ سَتَجِدُنِيٓ إِن شَآءَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٠٢ فَلَمَّآ أَسۡلَمَا وَتَلَّهُۥ لِلۡجَبِينِ ١٠٣ وَنَٰدَيۡنَٰهُ أَن يَٰٓإِبۡرَٰهِيمُ ١٠٤ قَدۡ صَدَّقۡتَ ٱلرُّءۡيَآۚ إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجۡزِي ٱلۡمُحۡسِنِينَ ١٠٥ إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ ٱلۡبَلَٰٓؤُاْ ٱلۡمُبِينُ ١٠٦ وَفَدَيۡنَٰهُ بِذِبۡحٍ عَظِيمٖ ١٠٧ وَتَرَكۡنَا عَلَيۡهِ فِي ٱلۡأٓخِرِينَ ١٠٨ سَلَٰمٌ عَلَىٰٓ إِبۡرَٰهِيمَ ١٠٩
‘হে প্রভু! আমাকে নেক সন্তান দান করুন। অতঃপর আমি তাকে সুসংবাদ দিলাম এক অতীব ধৈর্যশীল সন্তানের। পরে যখন সে সন্তান তার সাথে দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ানোর বয়সে পৌঁছুলো, তখন তিনি (ইবরাহীম আ:) একদিন বললেন, হে ছেলে! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি আল্লাহর হুকুমে তোমাকে যবেহ করছি এখন তুমি চিন্তা-ভাবনা করে দেখো এবং তোমার অভিমত কী তা জানাও? তিনি (ইসমাঈল) বললেন, হে পিতা! আপনি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছেন তা পালন করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যেই পাবেন। এরপর যখন দু’জনই আল্লাহর আদেশ মানতে রাজি হলেন, তখন তিনি (ইবরাহীম আ:) পুত্রকে যবেহ করার জন্য শুইয়ে দিলেন। আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইবরাহীম! তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছো। আমি এভাবেই আমি অনুগত বান্দাদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এটি ছিল বড় পরীক্ষা। আর আমি তাকে বিনিময় করে দিলাম এক বড় কুরবানীর মাধ্যমে এবং তা পরবর্তীর জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। শান্তি বর্ষিত হোক ইবরাহীম আ: এর উপর।’
আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতা আলার ইচ্ছা- বান্দাহ সর্বক্ষেত্রে তাঁরই নির্দেশ মেনে চলবে। নিজের প্রবৃত্তি, শয়তানের ধোকা আর পারিপার্শিক পরিবেশ যেনো আল্লাহর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে উঠে। আল্লাহর সকল নির্দেশ অকুণ্ঠ চিত্তে মেনে নিবে। তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে নিজের প্রিয় বস্তুকে তাঁর নামে উৎসর্গ করবে, কুরবানী করবে। 
সূরা আল আন‘আমের ১৬২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনÑ
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
‘(হে নবী) আপনি বলুন! আমার নামায, আমার সকল ইবাদাত, কুরবাণী এবং আমার জীবন-মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্যেই নিবেদিত।’  
বলাবাহুল্য যে, মু’মিনদেরকে প্রতিনিয়তই কুরবানী দিয়ে যেতে হয়। মন চায় দুনিয়ার রং তামাশায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে। পরকালের জবাবদিহিতা, শাস্তি, হাশর এসবকে স্মরণ করতে মনের ভালো লাগে না। সে চায় সম্পদের প্রাচুর্য গড়তে। আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে। নাচ গান, মদ আর নারী নিয়ে আমোদ-স্ফুর্তিতে জীবনটাকে উপভোগ করতে। কিন্তু আল্লাহ এসব নিষেধ করে দিয়েছেন। যাঁরা ঐসব ভোগ-বিলাস থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখেন তাদের জন্যও এটা কুরবানী। আর এসব কুরবানীর মুখোমুখি মু’মিনদেরকে প্রতিনিয়তই হতে হয়।
তবে প্রতিবছরই যিলহজ মাসের ১০ তারিখে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বিশেষ কুরবানী আল্লাহ তায়ালা বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন। সামর্থবান সকলের উপরই এই কুরবানী ওয়াজিব কিংবা মতান্তরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনÑ 
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ
‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং পশু কুরবানী করো।’ Ñসূরা আল-কাউসার: ২
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا  Ñ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না, সে যেনো আমাদের ঈদগাহে না আসে। Ñমুসনাদ আহমাদ, ইবন মাজাহ- ৩১২৩ হাদীসটি হাসান।
অনুরূপভাবে রাসূল সা. কুরবানী করার নির্দেশ দিয়ে আরও বলেনÑ يَا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَى كُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُضْحِيَّة Ñ“হে লোক সকল! প্রত্যেক পরিবারের উপর কুরবানী দেয়া অপরিহার্য।” Ñসুনান ইবন মাজাহ-৩১২৫, হাদীসটি হাসান।
তবে মনে রাখতে হবে যে, সমস্ত কর্মই একমাত্র আল্লাহর জন্যই নিবেদিত হওয়া আবশ্যক। অন্যকোন নিয়ত যদি এর মধ্যে অনুপ্রবেশ করে তাহলে শুধু কুরবানীর মূল উদ্দেশ্যই ব্যহত হবে না, বরং কোন কোন নিয়তের কারণে শিরকের গুনাহও হয়েযেতে পারে। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলে দিয়েছেনÑ
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَـٰكِن يَنَالُهُ التَّقْوَىٰ مِنكُمْ 
‘কুরবানীকৃত পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, শুধু তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের মনের ‘তাকওয়া’।’ সূরা হজ-৩৭
এই তাকওয়াই হচ্ছে মুমিনের মূল ভিত্তি। মুসলিমরা যাই করবে, তার মধ্যে তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি না থাকলে কোন কিছুরই সুফল পাওয়া যাবে না। আর তাকওয়াবান মানুষই আল্লাহর নিকট প্রিয় মানুষ। যাঁদের মাধ্যমে আল্লাহ পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চান। কারণ, এঁদের হাতেই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ নিরাপদ।
সকল মুসলিমকে আল্লাহ তাকওয়ার সম্পদে ভরে দিন। আমরা সকলেই তাকওয়াবান হওয়ার চর্চায় মনোযোগী হওয়ার চেতনা ফিরিয়ে আনি। তাকওয়াবান মানুষ হয়ে আমরা সবাই শান্তিময় বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলিÑ এই হোক এবারের ঈদুল আযহার প্রতিজ্ঞা। আল্লাহ আমাদেরকে মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত করুন- আমীন।

 

হাফেজ মুফতী সাইফুল ইসলাম
খতীব মুজিদুত তাকওয়া, ধানমন্ডি, ঢাকা।