জনসনের উত্তরসূরি নির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর : প্রার্থী ১১

জনসনের উত্তরসূরি নির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর : প্রার্থী ১১

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বেছে নেয় হবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ১১ জন প্রার্থী রয়েছে বলেও দলের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে বরিস পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ করেছে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ১৯২২ কমিটি অফ কনজারভেটিভ ব্যাকবেঞ্চ এমপিস। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মঙ্গলবারই ছিল মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন। এখন পর্যন্ত ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কমিটির প্রধান স্যার গ্রাহাম ব্যাডির কথায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন দ্রুত এবং মসৃণ করতে চাইছে তারা। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে পাওয়যাবে বলেও জানিয়েছেন কমিটির প্রধান।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয় কিভাবে?

নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে নিজ দলের অন্তত ২০ জন এমপির সমর্থন পেতেই হবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে সেক্ষেত্রে লাগবে ৩০টি ভোট। যে কম ভোট পাবে, প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী থেকে ছিটকে যাবে সে। দ্বিতীয় রাউন্ডের পরও যদি দেখা যায় আরো দুইয়ের অধিক প্রার্থী রয়েছেন, সেক্ষেত্রে আরো কয়েকটি রাউন্ডে হবে ভোট প্রক্রিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন কমিটির যুগ্ম-নির্বাহী সচিব বব ব্ল্যাকম্যান। প্রথম ব্যালট বুধবার এবং দ্বিতীয় ব্যালট সম্ভবত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে ব্রিটেনের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি সংখ্যা ৩৫৮। তারা কে কোন পক্ষের, সেই ধারণা এখনো স্পষ্ট হয়নি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই সেই ছবিটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী তালিকায় আলোচিত নাম জনসন সরকারের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী লিজা ট্রস ও অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আছেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রীতি প্যাটেলও। দৌড়ে রয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত সাজিদ জাভিদও।

এদিকে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার সময় ব্রিটিশ জনগণকে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, নতুন প্রধানমন্ত্রী তা রক্ষা করবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না বলেও আশ্বস্ত করেছেন জনসন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার কর্তব্য পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন জনসন।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বরিস জনসন। তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ৫০ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করার পর, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান জনসন। দেশের স্বার্থে পদত্যাগ করার জন্য জনসনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পদত্যাগী মন্ত্রীরা।
সূত্র : এই সময়